নয়াদিল্লি: ভারতকে নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করেই চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়েও টিকা-টিপ্পনি করে চলেছেন আমেরিকার প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাতেই এবার বিপর্যয় ঘটালেন তিনি। ভারত না পাকিস্তান, কাকে নিয়ে কথা বলছেন, কার্যত গুলিয়ে ফেললেন। শুধু তাই নয়, ফের বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। (Donald Trump on Narendra Modi)
ট্রাম্পের দাবি, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা হবে না বলে মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। সেই দাবি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে ভারত। মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যে ফোনে কোনও কথা হয়নি বলে জানিয়েছে দিল্লি। তবে ট্রাম্পের আরও বেশ কিছু মন্তব্য় নজর কেড়েছে সকলের। (US-India Relations)
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “মোদি মহান পুরুষ। (সেরজিও গোর আমাকে বলেছে) উনি ট্রাম্পকে ভালবাসেন। ‘ভালবাসা’ শব্দটিকে অন্য ভাবে নেবেন না। আমি ওঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দিতে চাই না।” ভারতের প্রশংসা করার পাশাপাশি, রাজনীতিক হিসেবে মোদিকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি বহু বছর ধরে ভারতকে দেখছি। অসাধারণ দেশ। প্রতি বছর একজন নতুন নেতা উঠে আসেন। কেউ কেউ কয়েক মাসই থাকেন। বহু বছর ধরে এমনই চলে আসছে। আমার বন্ধু কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রয়েছেন। উনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়ার থেকে আর তেল কেনা হবে না। আমরা চাই প্রেসিডেন্ট পুতিন এসব বন্ধ করুন, ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা বন্ধ হোক, রুশ হত্যাও বন্ধ হোক। কারণ অনেক রুশ নাগরিকও মারা যাচ্ছেন। দুই নেতার (পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি) মধ্যে এত ঘৃণা বাধা হয়ে উঠছে. তবে আমার বিশ্বাস, লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। ভারত তেল কিনলেই কাজ সহজ হবে। রাশিয়ার থেকে আপাতত তেল কিনবে না ওরা। যুদ্ধ শেষ হলে আবার শুরু করবে।”
মোদিকে নিয়ে ট্রাম্পের টিপ্পনি যেমন ভাল চোখে দেখছেন না অনেকে, তেমনই ভারতে বছর বছর নতুন উঠে আসে বলে যে দাবি করেছেন ট্রাম্প, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে পাকিস্তানে এমন সঙ্কট দেখা দিলেও, ভারতে বছর বছর নেতৃত্ববদলের ইতিহাস নেই। তাই ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে গুলিয়ে ফেলেছেন বলেও দাবি উঠছে।
তবে এদিন মোদিকে ‘বন্ধু’ বলেই উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, “উনি (মোদি) আমার বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক বেশ ভাল। ভারত যে তেল কিনছিল, তা ভাল মনে হচ্ছিল না আমার। আজ উনি আশ্বস্ত করেছেন আমাকে। জানিয়েছেন, রাশিয়ার থেকে তেল কিনবেন না। এবার চিনকেও একই ভাবে রাজি করাতে হবে।”