কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর মুখে ফের 'রাষ্ট্রপতি শাসন'। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের কাজ চলছে। সেই আবহেই ফের রাষ্ট্রপতি শাসনের হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা। কবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে, তার দিন ক্ষণও ঘোষণা করে দিলেন তিনি। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। (BJP News)

Continues below advertisement

নাগরাকাটায় দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার ফের রাষ্ট্রপতি শাসনের হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু। খগেন মুর্মুর উপর হামলার প্রতিবাদে নাগরাকাটার প্রতিবাদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "মোদিজি সবার জন্য, সকলের জন্য কাজ করেন। কোনও চিন্তা করবেন না। অনুপ্রবেশকারী, টাটা বাই বাই। SIR-এর সেমিফাইনালেই পিসি এবং ভাইপো ভোকাট্টা। তাই চিৎকার করছে, SIR করতে দেব না। দম থাকলে আটকে দেখান।" (Suvendu Adhikari)

শুভেন্দু আরও বলেন, "বলছে, '২ তারিখ থেকে মিছিল করব'। করুন মিছিল। আমরাও পাল্টা মিছিল করব, নো SIR, নো ইলেকশন। SIR করতে দেবেন না, ভোটার লিস্ট তৈরি হবে না, ভোটার লিস্ট তৈরি না হলে ভোট হবে না। ভোট না হলে ২০২৬ সালের ৪ মে রাত ১২টার পর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। তাহলেই ভোকাট্টা হয়ে যাবেন। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোথায় থাকবেন! থাকতে পারবেন না।"

Continues below advertisement

শুভেন্দুর এই হুঙ্কার নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণণূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী খুব ভাল করে জানেন যে, বাংলায় অবাধ ভোট হলে, বিরোধী দলনেতা হওয়ার জন্য যে সংখ্যা প্রয়োজন, তা তিনি পাবেন না। তাই ওঁকে হয় ভোট চুরি করতে হবে, নইলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে হবে। তাই হয় SIR করে হয় বিহারের মতো ন্যায্য় ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে, নইলে রাষ্ট্রপতি শাসন। বাংলার মানুষ অবাধ ভোট দিলে, উন্নয়ন এবং মমতার পক্ষে থাকবেন। তাই হয় ভোট চুরি, নইলে গায়ের জোরে ডাকাতি। রাষ্ট্রপতি শাসন করে গণতন্ত্রের ডাকাতি। আর কোনও জায়গা নেই বুঝেই এসব বলছেন। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের হত্যাকারীদের চিরকাল ঘৃণা করে এসেছেন, ২০২৬-এর তার প্রতিফলন দেখা যাবে। এ রাজ্য থেকে বিজেপি-কে বিদায় করবেন।"

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও একই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, "রাজ্যকে নানা ভাবে বিব্রত করতে চেয়েছে বিজেপি। টাকা বন্ধ করেছে, আবাসের, ১০০ টাকা, বকো টাকা বন্ধ করার পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তাণ্ডব করিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখিয়েছে, নির্বাচন কমিশন দেখিয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি। বাংলার মানুষ মাথা উঁচু করে লড়াই করছেন। তাই এখন ভোটার তালিকায় হাত দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে দেখেছি, অন্য রাজ্য থেকে কপি-পেস্ট করে সেখানকার তালিকায় বসিয়ে দিয়েছে। বাংলায় সুবিধা করতে পারেনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপত্তি করেছেন। তাই এখাবকার ভোটার তালিকায় কতখানি কারচুপি করা যায়, সেই চেষ্টা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলছি, একজন বৈধ ভোটার, নাগরিকের গায়েও হাত দেওয়া যাবে না।"