নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়ার  পিছনে তিনি ছুটছেন না, মুখে এমনটাই দাবি করেন তিনি। কিন্তু বারবারই নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করেছেন নিজেই।  ভারত-পাক সংঘাতের আবহে বারবার শান্তি ফেরানোর কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই মুখে যাই বলুন না কেন, তাঁর 'পাখির চোখ' যে ছিল নোবেল শান্তি পুরষ্কারই, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়েছেন অনেকবারই। অতি সম্প্রতি গাজায় শান্তি ফেরানোর দাবি করেছেন ট্রাম্প। এসব কিছুর পরেও নোবেল কি ধরা দেবে ট্রাম্পের হাতে ? উত্তর দেবে সময়। তবে  নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার কয়েক ঘন্টা আগে , ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার নোবেল প্রাপ্তির তীব্র সমালোচনা করলেন। দাবি করলেন ওবামা কিছুই না করার আর আমেরিকাকে ধ্বংস করার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন। ট্রাম্প আরও বলেন যে ওবামা মোটেই ভালো রাষ্ট্রপতি নন। 

Continues below advertisement

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, ট্রাম্প গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আটটি যুদ্ধ শেষ করার কৃতিত্ব দাবি করেন । জোর দিয়ে বলেন, তিনি পুরষ্কারের পিছনে ছুটছেন না। বরং হতাশা প্রকাশ করেন , ওবামা তার রাষ্ট্রপতিত্বের মাত্র কয়েক মাস পরেই নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছিলেন বলে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সম্মানপ্রাপ্তি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে ট্রাম্প বলেন, "তিনি কিছুই না করার জন্য এটি পেয়েছেন। ...তারা ওবামাকে এটি দিয়েছে আমাদের দেশকে ধ্বংস করা ছাড়া একেবারে কিছুই না করার জন্য"। ওবামাকে ২০০৯ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়া হয়, ক্ষমতায় আসার আট মাস পর।

ভারত - পাক সংঘর্ষ বিরতির পর ট্রাম্প নিজেই মধ্যস্থতা করার কৃতিত্ব দাবি করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ট্রাম্প নিজেও সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ' ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না, সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে যুদ্ধ আটকানোর জন্য আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না। ইজিপ্ট ও ইথিওপিয়ার মধ্যে শান্তিরক্ষার জন্য আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না। মধ্যপ্রাচ্যে আব্রাহাম চুক্তির জন্যও আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না। আমি যাই করি না কেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাব না। রাশিয়া-ইউক্রেন, ইজরায়েল-ইরান, যাই ফলাফল হোক না কেন, মানুষ জানে এবং সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।'  

Continues below advertisement

এবার হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে খোলাখুলিই নিজেকে শান্তির প্রচারক , দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রচার করে চলেছেন ট্রাম্প।   অসলোর  Peace Research Institute কে প্রাভাবিত করার চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেননি।  নোবেল শান্তি পুরষ্কার কে পাবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা নেয় এই ইনস্টিটিউট। সংস্থার ডিরেক্টর নিনা গ্রেগর গাজায় শান্তি ফেরানোর প্রচেষ্টায় ট্রাম্পের ভূমিকা স্বীকার করলেও বলেছেন, আদৌ এই শান্তি প্রস্তাব কার্যকরী হয় কি না সেটা দেখার। তাই গাজায় শান্তি ফেরার বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে এখনও অনেক সময় লাগবে।