নয়াদিল্লি: 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতি কার্যকর করতে দেশের তাবড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে ফের হুঁশিয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। চিনে কারখানা গড়া, ভারত থেকে লোক নিয়োগের দিন শেষ বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। নিজের দেশের মানুষকে উপেক্ষা করে আমেরিকার তথ্য়প্রযুক্তি সংস্থাগুলি যা করছে, তা 'উগ্র বিশ্বায়ন' বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। (Donald Trump)
বুধবার ওয়াশিংটনে AI সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনটি নির্দেশনামাতেও সই করেন তিনি। পাশাপাশি, দেশের বড় বড় তথ্য়প্রযুক্তি সংস্থাগুলির তীব্র সমালোচনা। তাঁর শাসনে এসব চলবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। (Donald Trump Big Message)
AI সম্মেলন ট্রাম্প বলেন, "বহুকাল ধরে আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র উগ্র বিশ্বায়ন চালিয়ে আসছে। আমেরিকার লক্ষ লক্ষ নাগরিককে ব্রাত্য রাখা হয়েছে। আমেরিকার নাগরিকদের হতাশার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, নিজেদের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার মনে করছেন তাঁরা। আমাদের মহান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি আমেরিকায় স্বাধীনতা ভোগ করেছে, কিন্তু কারখানা তৈরি করেছে চিনে। লোক নিয়োগ করেছে ভারত থেকে। মুনাফা ভাগ করে নিয়েছে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। অথচ নিজের ঘরের লোকেদের, নিজের নাগরিকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ট্রাম্পের শাসনে ওসবের দিন গিয়েছে।"
আমেরিকায় থাকতে হলে আমেরিকার প্রতি নিবেদিত হতে হবে বলে তথ্য়প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে বার্তা দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "সিলিকন ভ্যালিতে দেশভক্তির নতুন ধারা আনতে হবে, দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের সময় এসেছে। সিলিকন ভ্য়ালিইর বাইরেও আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে আমেরিকার জন্য ভাবতে হবে। প্রাধান্য দিতে হবে আমেরিকাকে। আমেরিকা ফার্স্ট। আপনাদের এটা করতেই হবে।"
যে তিনটি নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প, তাতে যন্ত্রমেধা বা AI-এর দুনিয়ায় আমেরিকার নেতৃত্ব মজবুত করার প্রস্তাব রয়েছে। AI উন্নয়ন নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিশেষ অ্যাকশন প্ল্যান হবং আমেরিকায় তৈরি AI প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় শিল্পের উন্নয়নেও জোর দেওয়ার নির্দেশিকাতেও সই করেন ট্রাম্প।
প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতি নিয়েই হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছেন ট্রাম্প। চিন, ভারতের মতো দেশে কারখানা গড়া নিয়ে সম্প্রতি Apple-কেও সতর্ক করেন তিনি। নির্দেশ না মানলে,অন্য দেশে তৈরি আইফোনের উপর কড়া শুল্ক চাপানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।