নয়াদিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ার মতো ‘রত্ন’ বেচে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদন সরকারি বিমান সংস্থার আধ ডজনের বেশি ইউনিয়নের, যাতে সামিল পাইলটদের সংগঠনও। এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ রুখতে তাদের প্রস্তাব, বিক্রি না করে সরকার বরং এয়ার ইন্ডিয়াকে এল অ্যান্ড টি, আইটিসির মতো বোর্ড পরিচালিত সংস্থা করা হোক। ইউনিয়নগুলির এক যৌথ চিঠিতে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া তিন বছর ধরে অপারেশন সংক্রান্ত মুনাফা অর্জন করেছে। ধার-দেনা সার্ভিসিং একটা বড় চ্যালেঞ্জ কেননা বছরে ৪০০০ কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে ব্যয় বাবদ। আমরা সরকারকে আবেদন করছি, ঋণ মকুব করে পেশাদার পরিচালন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে এই বিমান সংস্থাকে চালানো যায় কিনা, ভেবে দেখা হোক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উড়ানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি, অসামরিক উড়ান সচিব পি এস খারোলা ও এয়ার ইন্ডিয়ার সিএমডি অশ্বিনী লোহানিকেও পাঠানো হয়েছে ওই চিঠি। এককালে যে বিমান সংস্থাকে ‘রত্ন’ বলে ভাবা হত, তা বেচে দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ খুব কষ্ট পাবেন, আমাদের জাতীয় গর্বেও আঘাত লাগবে বলে জানিয়েছে ইউনিয়নগুলি।
সরকার চাইলে পেশাদারদের হাতে পড়লে এয়ার ইন্ডিয়া আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা। এও বলেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীই অত্যন্ত পারদর্শী, পরিশ্রমীও।
ইন্ডিয়ান কর্মাশিয়াল পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন, অল ইন্ডিয়া কেবিন ক্রু অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান পাইলটস গিল্ড প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো সংগঠনগুলির মধ্যে আছে।
সরকার এয়ার ইন্ডিয়ায় নিজের পুরো ১০০ শতাংশ শেয়ারই বিক্রির সার্বিক প্রয়াস চালাচ্ছে। সংস্থার বিলগ্নিকরণে ২০২০র ৩১ মার্চ সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সরকারি সূত্রের খবর, এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট সংক্রান্ত নথি তৈরির কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া সামনের মাসের গোড়ায় শুরু হতে চলেছে। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের ছাড়পত্র পাওয়া ৩০ হাজার কোটি টাকার বেল আউট প্যাকেজে চলছে এয়ার ইন্ডিয়া।