নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক ডঃ কাফিল খানের মুক্তির নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। গত ডিসেম্বরে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণের জন্য তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু কাফিল তাঁর ভাষণে কোনও ধরনের ঘৃণা বা হিংসায় প্ররোচনা দেননি বলে জানিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলল, তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। হাইকোর্ট আরও বলেছে, কর্তৃপক্ষ যে কারণের উল্লেখ করেছে, তার ভিত্তিতে কাফিলের বিরুদ্ধে ওই কঠোর আইনের প্রয়োগ বৈধ, আইনি নয়।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলাকালে ২০১৯ এর ১০ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে জেলে আছেন কাফিল।
কাফিলের মা নুজাত পারভিন ছেলের মুক্তি চেয়ে যে হেবিয়াস কর্পাল রিট পিটিশন জমা দিয়েছিলেন, তাতে সম্মতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মারহার ও বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিংহকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ, বলেছে, কাফিলের ভাষণে কোনও ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষ বা হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া হয়নি। বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছে, ওই ভাষণ পুরোটা শুনলে বোঝা যাবে কোথাও আলিগড়ের শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করার কথা নেই। বরং তাতে জাতীয় সংহতি, দেশবাসীর ঐক্য়রক্ষার কথা বলা হয়েছে, যে কোনও হিংসারও নিন্দা করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, ভাষণের মূল উদ্দেশ্য উপেক্ষা করেজেলা ম্যাজিস্ট্রেট বেছে বেছে তার কিছু অংশের উল্লেখ করেছেন।
হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন অনুসারে, কাফিলকে উপযুক্ত আদালত জামিন দিয়েছিল, জামিনে তাঁর ছাড়া পাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু চারদিন তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি, পরে তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ প্রয়োগ করা হয়। সুতরাং তাঁকে আটকে রাখাটা বেআইনি কাজ হয়েছে কেননা উপযুক্ত আদালত মঞ্জুর করা জামিনের প্রয়োগ ঠেকাতেই এটা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কাফিল এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ২০১৭য় গোরক্ষপুরে বাবা রাঘব দাশ মেডিকেল কলেজে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতির জন্য একাধিক শিশুমৃত্যুর ঘটনায়।