রিয়া মর্গে কী করে ঢোকেন, জানতে চাইল মহারাষ্ট্র মানবাধিকার কমিশন, অনুমতি ছিল না, বলল বৃহন্মুম্বই পুরনিগম
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 01 Sep 2020 03:13 PM (IST)
এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত চিঠি কমিশনকে দিয়েছেন আরএন কুপার হাসপাতালের ডিন পিনাকিন গুজ্জর। জানিয়েছেন রিয়াকে তাঁরা প্রবেশের অনুমতি দেননি মর্গে।
রিয়ার সঙ্গে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সম্পর্ক আজ কারও অজানা নয়। প্রায় একই সময়ে বলিউডের সঙ্গে দু’জনের পরিচিতি। রুপোলি পর্দায় দু’জনেরই কেরিয়ার শুরু ছোটপর্দায়। সুশান্ত যখন চুটিয়ে সিরিয়ালে অভিনয় করছেন, তখন রিয়া ভিডিও জকি হিসেবে কাজ করছিলেন এম টিভি-তে। সুশান্ত আর রিয়া-র বলিউডে পথ চলা প্রায় একই সময়ে। ২০১৩-র ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রথম ছবি কাই পো চে। ঠিক পরের মাসেই মুক্তি পায় রিয়া চক্রবর্তী অভিনীত মেরে ড্যাড কি মারুতি।
মুম্বই: কেন রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ দেখতে লাশকাটা ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল, সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে (বিএমসি) নোটিস পাঠিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এমএ সইদ। ৩১ অগস্টের মধ্যে উত্তর চাওয়া হয়েছিল। বিএমসি-র তরফে জানানো হল, তারা রিয়াকে ‘ভিজিট’ করার অনুমতি দেয়নি। এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত চিঠি কমিশনকে দিয়েছেন আরএন কুপার হাসপাতালের ডিন পিনাকিন গুজ্জর। জানিয়েছেন রিয়াকে তাঁরা প্রবেশের অনুমতি দেননি মর্গে। কিন্তু এ রকম একটা দায়সারা উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সইদ। তিনি রিয়ার ভিজিটের সময় সেখানে উপস্থিত সমস্ত আধিকারিক, কর্মী সকলের নামের তালিকা এবং তাদের কাছ থেকে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছেন বিএমসি-র কাছে। এ নিয়ে তাগাদা দেওয়ার জন্য সইদ সহযোগিতা চেয়েছেন মুম্বই পুলিশের। প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আত্মহত্যা হয়ে থাকলে তাতে কাদের প্ররোচনা ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুপার হাসপাতালের মর্গে সুশান্তের মরদেহ রাখা হয়েছিল। কারও সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল না। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী কেমন করে সেখানে সেদিন ঢোকেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানার জন্যই এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রিয়ার মর্গে প্রবেশের বিষয়ে কাদের প্রভাব কাজ করেছিল, তার খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।