সংস্থার কর্তারা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, সবগুলি ফ্লাইট আর্টিকল অর্থাত্ রকেটের যাত্রায় নজরদারি চালানো হয়েছে টেলিমেটরি, রাডার ও ইলেকট্রো-অপ্টিকাল ট্র্যাকিং সিস্টেমের মতো রেঞ্জের যন্ত্রপাতি দিয়ে, যা পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণের পারফরম্যান্স নিশ্চিত করেছে। এই নতুন ভার্সন ৬০ থেকে ৯০ কিমির মধ্যে দূরত্ব পেরতে পারে।
জানা গিয়েছে, পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট সিস্টেম (এমআরএলএস) অর্থাত পিনাকার উন্নততর নয়া সংস্করণ দিয়ে চলতি পিনাকা এমকে-১ রকেটকে বদলানো হবে। ধাপে ধাপে ওই রকেট বসিয়ে দেওয়া হবে। পিনাকা এমকে-১ রকেট বর্তমানে তৈরির কাজও চলছে। এমকে-১ এর পাল্লা ৩৬ কিমির, সেখানে এই উন্নততর সংস্করণের ৪৫ থেকে ৬০ কিমি পর্যন্ত দূরের টার্গেটে আঘাত করার ক্ষমতা আছে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাহিদার কথা বিবেচনা করেই তা বানানো হয়েছে।
পিনাকা রকেটের নামকরণ করা হয়েছে ভগবান শিবের ধনুকের নামে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার সিস্টেমে ইতিমধ্যে সামিল করা হয়েছে তাকে। চিন, পাকিস্তান-উভয়ের বিরুদ্ধেই সেনাবাহিনীর অপারেশনে সাফল্যের সঙ্গে তা মোতায়েনও করা হয়েছে।
জনৈক ডিআরডিও কর্তা বলেছেন, পূর্ব লাদাখে চিন তাদের আর্টিলারি গান মজবুত করতে প্রচুর সংখ্যায় রকেট মোতায়েন করেছে। সেখানে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বিপদ মোকাবিলায় বর্ধিত শক্তিসম্পন্ন পিনাকা তৈপি করা হয়েছে।