পটনা : অফিসে ফর্মাল পোশাক পরার বাধ্য বাধকতা আছে বহু সংস্থাতেই। তবে অনেক ক্ষেত্রেই পোশাক নিয়ে কড়াকড়ি নেই। বহু সরকারি অফিসেই নিজের পছন্দ মতো পোশাক পরে আসেন কর্মীরা। কিন্তু এবার সেক্ষেত্রে কড়া হল বিহার। বিহারের এক আদালত সারান জেলার সরকারি কর্মচারীরা দফতরে জিনস-টিশার্ট পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জানা গিয়েছে সারানের জেলা প্রশাসক সরকারি কর্মীদের জিনস পরে অফিসে আসতে বারণ করেছেন। সেই সঙ্গে গলায় সবসময় আই-কার্ড ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 


সংবাদ সংস্থা IANS এর রিপোর্ট অনুসারে, এবার থেকে সরকারি কর্মীরা অফিসে শুধুমাত্র ফর্মাল পোশাকই পরে আসতে পারবেন। কাজের সময় , অর্থাৎ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টে অবধি, মেনে চলতে হবে এই নিয়ম। জানা গিয়েছে, অফিসের কাজ ও কর্ম-সংস্কৃতি ধরে রাখতেই এই ভাবনা-চিন্তা।  

প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, এই পোশাক-রীতি যেন ভঙ্গ না করা হয়। জেলা শাসক বিভিন্ন সরকারি দফতরে সারপ্রাইজ ইন্সপেকশন করবেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মীদের দেখবেন জেলাশাসক। আদালতের নির্দেশ সকলে যেন পালন করেন তা সকলকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।                         

যদিও এমন নির্দেশ বিহারে নতুন কিছু নয়। নীতীশ কুমার সরকার এর আগেও পোশাক-নিয়ম জারি করেন। অফিসে সাধারণ, সাধাসিধে পোশাক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তখনও অফিসে জিনস ও টি শার্ট পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অর্ডারে বলা হয়, এটা দেখা গিয়েছে যে অনেক আধিকারিক ও কর্মচারী অফিসে পোশাকের ক্ষেত্রে নিয়ম মানেন না। এমন পোশাক পরেন, যা কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতির বিরোধী। একই ভাবে হরিয়ানা সরকারও চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে পোশাকের কিছু কড়াকড়ি করেছেন। হরিয়ানা সরকার নিয়ম জারি করেছে, তাঁরা কাজের জায়গায় জিনস, পালাজো, প্যান্টস, ব্যাকলেস টপ, স্কার্ট ইত্যাদি পরতে পারবেন না। সরকারি হাসপাতালগুলির জন্যই এই নিয়ম। এর আগে সিবিআই কর্তা সুবোধ কুমার জয়সওয়াল ২০২১ সালে তাঁর দফতরের আধিকারিকদের জন্য বেশ কিছু পোশাক-নিয়ম জারি করেন। কাজের সময় সিবিআইয়ের কর্মীরা পরতে পারবেন না জিনস টি-শার্ট, স্পোর্টস শুজ, চপ্পল পরতে পারবেন না বলে জানানো হয়।