নয়া দিল্লি: ড্রাইভিং লাইলেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে এনজিও, গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি ছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিতে পারবে গাড়ির চালক হওয়ার ছাড়পত্র। সম্প্রতি এই নতুন নিয়ম এনেছে মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েজ।
নতুন সরকারি নিয়ম অনুসারে, গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানির অ্যাসোসিয়েশন ট্রেনিংয়ের পরেই চালকের হাতে লাইসেন্স তুলে দিতে পারবে। একই সুবিধা দেওয়া হয়েছে প্রাইভেট প্লেয়ার বা বেসরকারি মোটর ট্রেনিং কোম্পানিগুলিকেও। সম্প্রতি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। যেখানে বলা হয়েছে, একমাত্র সরকার স্বীকৃত মোটর ট্রেনিং কোম্পানিগুলিই এই লাইসেন্স দিতে পারবে। তবে আগের মতো রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস বা (RTO)থেকেও এই লাইসেন্স ইস্যু হবে। ইতিমধ্যেই ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের সরকারি স্বীকৃতির জন্য অটোনমাস বডি, এনজিও, বেসরকারি কোম্পানি, অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনকে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীদের থাকতে হবে এই পরিকাঠামো
তবে যে কেউ চাইলেই ড্রাইভিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খুলতে পারবেন না। দিতে পারবে না ড্রাইভিং লাইসেন্স। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম লাগু করেছে সরকার। যেখানে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল মোটর ভেহিক্যাল রুল ১৯৮৯ অনুসারে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে আবেদনকারীদের কাছে। ট্রেনিং দেওয়ার মতো পরিকাঠামো তথা আর্থিক সঙ্গতি থাকতে হবে আবেদনকারীর।
জমা দিতে হবে অ্যানুয়াল রিপোর্ট
এই মোটির ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে স্বীকৃতি দেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। আবেদনের ৬০ দিনের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রতি বছর আরটিও বা ডিটিও-র কাছে বার্ষিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে। বর্তমানে প্রাইভেট মোটর ট্রেনিং সেন্টারে গাড়ি চালানোর অনুশীলন পান ফ্রেশাররা। কিছু গাড়ি প্রস্তুত কোম্পানিও এই মোটর ট্রেনিং দিয়ে থাকে। বহু মারুতির শোরুমের পাশেই দেখা যায় ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার।
সম্প্রতি দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জটিল পদ্ধতি সহজ করতে চাইছে সরকার। অনেক সময় ক্রেতা গাড়ি চালাতে পারলেও নিয়মের জটিলতায় লাইসেন্স আটকে যায় তাঁর। এবার এই পদ্ধতি সরল করার চেষ্টা করছে সরকার।