মোহন প্রসাদ ও সনৎ ঝা, দার্জিলিং: ভোটে ভরাডুবির দায় নিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়লেন বিনয় তামাং। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপাকে ইস্তফাপত্র পাঠালেন তিনি। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিমল গুরুঙের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন? বিনয় তামাঙের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিমল গুরুং।


পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন বাঁক।বৃহস্পতিবার দল ছাড়লেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুং বিরোধী গোষ্ঠীর প্রধান বিনয় তামাং।দলের সভাপতি পদ তো বটেই, প্রাথমিক সদস্যপদও ছাড়লেন তিনি। ফলে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিনয়পন্থী মোর্চা বলে আর কিছু রইল না।


এদিন এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন খোদ বিনয় তামাংই। তিনি বলেছেন, ভোটে হারের জন্য দল ছাড়লাম। ২০১৯ থেকে ষড়যন্ত্র চলছে আমাকে রাজনীতি থেকে হঠানোর জন্য।


গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা অনীত থাপা বলেছেন, এ ব্যাপারে কিছু বলব না, কাল বৈঠক হবে। তবে একদা সঙ্গী বিনয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি।গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গুরুঙ্গপন্থী)-রসাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন,দেরিতে হলেও ভাল সিদ্ধান্ত। স্বাগত জানাই। রাজনীতিতে কেউ চিরদিনের বন্ধু বা শত্রু নয়।


২০০৭ সালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্মলগ্নে একসঙ্গে ছিলেন বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং।১০ বছর একসঙ্গে পথ চলার পর এই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরে ২০১৭-তে।চার বছর আগে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন বিমল গুরুং।অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাহাড়। আর তখনই আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে যায় মোর্চা।তৈরি হয় গুরুং শিবির ও তামাং শিবির।


এবারের ভোটে দুই শিবিরই আলাদা করে প্রার্থী দেয় পাহাড়ে। গুরুং শিবিরের ঝুলি খালি থাকলেও  কালিম্পং আসনে জয়ী হন তামাংপন্থী প্রার্থী।এরপর আচমকা দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন বিনয়। যদিও এই ইস্যুতে মন্তব্য করতে চায়নি তৃণমূল। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেছেন, এটা ওদের দলের বিষয়, পাহাড়ের দল, আমি মন্তব্য করতে চাই না।


দল ছাড়ার পর বিনয় তামাং কি ফের হাত মেলাবেন গুরুঙের সঙ্গে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে পাহাড়ে।