নয়াদিল্লি: করোনা আবহে বন্ধ স্কুল। নেই শ্রেণিকক্ষের পঠনপাঠন। গত এক বছরে জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। আর এই আবহে উঠে এল নয়া তথ্য। বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশের বেশি। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই হার ১.৮ শতাংশ। প্রাথমিক স্তরে স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে ১.৭ শতাংশ।
ইউনিফাইড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস তথা ইউডিআইসিই প্লাসের ২০১৯-২০ বর্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের স্কুল ছুটের হার বেড়েছে। এমনকি এই হার প্রাথমিক স্তরে ছাত্রদের স্কুল ছুটের হারের থেকেও বেশি। ৩০ শতাংশ ছাত্র মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হচ্ছে না বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুটের হার সবথেকে বেশি। শতকরার হিসেবে যা ১৭.৩ শতাংশ। সিকিম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মধ্যপ্রদেশ, অসম, অরুণাচল প্রদেশে স্কুল ছুটের হার ২৫ শতাংশ। আরও ৪ রাজ্যে স্কুল ছুটের হার ৩০ শতাংশের বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব ভারতেই স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়েনি। দিল্লির শহরাঞ্চলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। স্কুল ছুটের হার ২০ শতাংশ। পঞ্জাবে এই হার সবথেকে কম। ১.৫ শতাংশ। স্কুল ছুটের হার ১০ শতাংশের নিচে চণ্ডিগড় (৯.৫ শতাংশ), কেরল (৮ শতাংশ), মণিপুর (৯.৬ শতাংশ ), তামিলনাড়ু (৯.৬ শতাংশ), উত্তরাখণ্ড ( ৯.৮ শতাংশ)।
তুলনামূলকভাবে একাধিক রাজ্যে ছাত্রীদের থেকে ছাত্রদের স্কুল ছুটের হার বেড়েছে। শতকরার হিসেবে ছাত্রীদের তুলানায় ছাত্রদের স্কুল ছুটের হার ২ শতাংশ বেশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পঞ্জাব, মণিপুর, কেরলে ৯০ শতাংশ পড়ুয়া মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। পঞ্জাবে কোনও ছাত্রী স্কুল ছুট হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরে সবথেকে বেশি স্কুল ছুট হয়েছে অসমে।