সোমনাথ দাস, দাসপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): একদিকে বরাদ্দের তুলনায় কম পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে রেশন। অন্যদিকে বাকি সামগ্রী চড়া দামে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে খোলা বাজারে। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের উত্তরবার গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে এমনই অভিযোগ তুলছিলেন গ্রাহকরা। অবশেষে শনিবার পাচার হওয়ার আগে হাতেনাতে রেশন সামগ্রীবোঝাই মিনিডোর আটকালেন তাঁরা। গাড়ি আটকে চলল গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। 


অভিযোগ, মিনিডোরে করে ৪০ বস্তা রেশন সামগ্রী পাচার করা হচ্ছিল। এক বাসিন্দা বলেন, আমরা হাতে নাতে ধরেছি, রেশন ডিলার হাফিজুর রহমান গ্রাহকদের বরাদ্দের তুলনায় কম দিয়ে রেশন সামগ্রী বাইরে চড়া দামে বিক্রি করছেন।


পাচারের ঘটনাটি স্বীকার করে নেন দাসপুরের বিডিও অনির্বান সাহু। বলেন, ঘটনা সত্যি, পুলিশ চালককে আটক করেছে। খাদ্য দফতরকে জানিয়েছি। যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 


ঘটনার কথা মেনে নিয়ে জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


তবে, রাতভর পুলিশ তল্লাশি চালালেও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্ত রেশন ডিলার হাফিজুর রহমানের। 


অন্যদিকে, ধান বিক্রিকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ও কালনা মহকুমায় ৬টি কৃষি সমবায়ের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার নয়ছয়ের অভিযোগ। আর্থিক দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছে জেলা সমবায় দফতর। 


অভিযোগ, কৃষি সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান না কিনে, সমিতির নামে ভুয়ো চালান তৈরি করে রাইস মিলের সঙ্গে যোগসাজশে লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। 


জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্তে নেমে শোকজ করা হয়েছে ৬ সমবায় সমিতির সম্পাদককে। এক সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশনাথ ভট্টাচার্যর সাফাই, রাজনৈতিক চাপে নিতে বাধ্য হয়েছি। রাইস মিল আমাদের কাছে ব্ল্যাঙ্ক কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে।


এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, সমবায় সমিতিগুলির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ফলে এই আর্থিক দুর্নীতির দায় শাসকদলের।


দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কাটোয়া মহকুমা নিবন্ধীকরণ দফতর সূত্রে খবর, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্ত পাঁচটি কৃষি সমবায়কে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।