Dubrajpur TMC : দুবরাজপুরে বিজেপির নির্বাচনী অফিস বদলাল তৃণমূল কার্যালয়ে !

দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় পরিবর্তিত হল তৃণমূল কার্যালয়ে।

Continues below advertisement

গোপাল চট্টোপাধ্যায়, দুবরাজপুর : দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় পরিবর্তিত হল তৃণমূল কার্যালয়ে। বিজেপি নেতা দিলীপ হাজরা গতকাল তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপর আজ তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিজেপি কার্যালয়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে তা তৃণমূলের কার্যালয়ে পরিণত করা হল ।

Continues below advertisement

বিজেপির দুবরাজপুর শহর সভাপতি সন্দীপ আগারওয়ালের অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী কার্যালয় ছিল। সেটি তৃণমূল দখল করেছে। গত নির্বাচনে মানুষ বিজেপির প্রতি আস্থা দেখিয়েছে, বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এরপর বেশ কিছু এলাকায় ভয় দেখিয়ে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। কখনও গঙ্গাজল ছিটিয়ে তৃণমূলে নেওয়া, তো কখনও যোগদানের সময় ধান, তুলসি হাতে ধরিয়ে শপথ গ্রহণ করানো হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার আরও অভিনব পদ্ধতি দেখা গিয়েছে। যেমন- স্যানিটাইজ করিয়ে দলবদল করানো। তার আগে মাইকে ভুল স্বীকার করে তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে নানা জায়গায়। কখনও আবার মাথা মুড়িয়ে তৃণমূলে ফেরার ঘটনাও সামনে এসেছে। 

গত মাসের শেষের দিকে বীরভূমের ইলামবাজারে স্যানিটাইজ করে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বাঁধে। বিজেপি অভিযোগ জানায়, ভয় দেখিয়ে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল। শাসক দল পাল্টা কটাক্ষ করে বলে, বিজেপি নামক ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।

এছাড়া বীরভূমের লাভপুরে শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক। ভয় দেখিয়ে বিজেপি কর্মীদের যোগদান করানো হচ্ছে, এই অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল দাবি করে, উন্নয়নের কাজে সামিল হতেই দলবদল। এই দলবদলের হিড়িক এখনও লেগে রয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola