কলকাতা: পুজোর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। বাঙালিরা এখন হাতের কর গুণছেন। কলকাতায় তুঙ্গে উঠেছে পুজোর বাজার। প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে মণ্ডপের প্রস্তুতি। মহালয়ার আগেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু মণ্ডপের। কিন্তু শুধু কি কলকাতাতেই আটকে রয়েছে পুজোর আমেজ? সেটা যে একেবারেই না। তা প্রমাণ করতে আটঘাঁট বেঁধে ফেলেছে আমস্টারডাম। নেদারল্যান্ডের রাজধানী শহরের প্রবাসী বাঙালিরা।


সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটারের সামান্য বেশি। এটাই মোটামুটি কলকাতা থেকে আমস্টারডামের দূরত্ব। কিন্তু দুর্গাপুজোর আমেজ এতটা দূরত্ব পেরিয়েও ফিকে হয়ে যায়নি। আমস্টারডামেও এখন দেবী উমার অপেক্ষা প্রহর গোণা হচ্ছে। আয়োজনে 'আনন্দধারা'। পুজোর অন্যতম আয়োজক সুদীপ্ত লস্কর জানাচ্ছেন, এবার সপ্তম বর্ষে পৌঁছেছে 'আনন্দধারা'র পুজো। কলকাতার ধাঁচে এই পুজো বরাবর থিম পুজো করে আসছে। আর এবার বিশেষ আকর্ষণ  'চন্দ্রযান ও বিক্রম ল্যান্ডার'। ২০২১ সালের 'মধ্যযুগীয় দুর্গ', ২০২২ সালে 'হাওড়া ব্রিজ'- ছিল এই পুজোর থিম। এবারের 'চন্দ্রযান' সেই ভিড় ছাপিয়ে যাবে বলে আশা মণ্ডপসজ্জার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌরব মুখোপাধ্য়ায় এবং সোমিয়া লস্করের।


পঞ্জিকা মেনে পুজোপাঠ:
অনেকে মনে করেন বিদেশের পুজো শুধুই আনন্দ। সময় এবং ছুটির অভাবে দুর্গা পুজো সেখানে শুধুই 'ইভেন্ট'। কিন্তু এই ধারণা একেবারে নস্যাৎ করে আমস্টারডামের আনন্দধারা। এটাই একমাত্র পুজো যেটি নেদারল্যান্ডে প্রতিবছর নিয়ম করে পঞ্জিকা মেনে পুজো করে ৷ এখন জোরকদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।  চলছে মণ্ডপসজ্জার কাজ৷ নেদারল্যান্ড-এর 'ভি এর এ' ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই পুজো হয়। মাঠে পুজোর আয়োজনের জন্য জায়গাও অনেক বেশি পাওয়া যায়। ভিড়ও হয়। বহুজাতিক ব্যাঙ্কে কর্মরত প্রবাসী বাঙালি বীতিহোত্র চ্যাটার্জী একেবারে প্রথম থেকেই এই পুজোর পুরোহিত।


বাঙালি যেখানে পেটপুজো সেখানে:
দুর্গাপুজোয় পেটপুজো হবে না এমনটা সাধারণত হয় না। যেখানে প্রবাসী বাঙালিরা পুজোর আয়োজন করছেন, সেখানে যে ভোজের ব্যবস্থা ভালই থাকবে সেটা চোখ বুজে বলে দেওয়া যায়। এখানেও সেই ছবিটার নড়চড় হচ্ছে না। থাকছে বিভিন্ন লোভনীয় খাবারের সমাহার। আর তাতে বাংলার ছোঁয়া যাতে থাকে তার জন্য কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ২টি বাছাই রেস্তরাঁর রাঁধুনি ও কারিগরদের। তাঁদের হাতের জাদুতে বুঁদ হবেন আমস্টারডামের প্রবাসী বাঙালিরা। 


চমক বিজয়া সম্মিলনীতে:
পুজোর রেশ বজায় রেখেই বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের আসর জমাতে থাকছেন অনুপম রায়৷