নয়াচর: ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে। হুগলি ও হলদি নদীর মোহনায় ইয়াস বিধ্বস্ত দ্বীপ ঘুরে দেখে আশ্বাস দিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল আর বিজেপি। 


ইয়াসের তাণ্ডবে সমুদ্রের নোনাজল ঢুকে ভেসে গিয়েছে শয়ে শয়ে মাছের ভেড়ি। যার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন শয়ে শয়ে মত্‍স্যচাষি। এই পরিস্থিতিতে নয়াচর দ্বীপ ঘুরে দেখলেন মৎস্যমন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। 


২৬ মে ইয়াস আছড়ে পড়ার দিন, হুগলি আর হলদি নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে প্লাবিত হয়েছিল নয়াচর। ভেড়ির প্রায় সমস্ত মাছই জলের তোড়ে নদীতে ভেসে যায় সেদিন। শনিবার মৎস্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে নয়াচরে শিবির করে ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে। 


মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নয়াচরবাসী। নয়াচরের বাসিন্দা রাজু হালদারের কথায়, হুগলি ও হলদি নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা নয়াচর দ্বীপের আয়তন ৬৪ বর্গ কিলোমিটার। বিশাল চরভূমিতে বাম আমল থেকে বসবাস শুরু করেন মৎস্যজীবীরা। 


পূর্বতন বাম সরকারের আমলে মৎস্য দফতর প্রায় ৭০০ একর জায়গায় ১১৬টি পুকুর খনন করে মাছ চাষের জন্য লিজ দেয় বেশ কিছু সমবায়কে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, নয়াচরে এখন আড়াই হাজার মানুষের বাস। সুন্দরবনের মতো নয়াচরেও ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস করে ভেড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে বারবার। এহেন দ্বীপে ত্রাণ বিলি নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। 


তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, নয়াচরে অধিকাংশ মাছের ভেড়ির কোনো আইনি বৈধতা নেই। সরকারি ক্ষতিপুরণ নিয়ে রাজ্যের শাসকদল আসলে তৃণমূল নেতাদের পকেট ভর্তির পরিকল্পনা নিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি আজগর আলি জানিয়েছেন, তরজা নয়, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো চাইছেন এই বিপদে পাশে দাঁড়াক সরকার।