নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শুক্রবারই শেষদিন ছিল ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Chief Justice DY Chandrachud)। আর শেষদিনে ফেয়ারওয়েল স্পিচ দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন তিনি। হিসেব মতো ১০ তারিখ তাঁর অবসর গ্রহণের শেষ দিন হলেও শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হল তাঁকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচাপতি তাঁর বিদায়ী ভাষণে আদালতে হাজির সবাইকে কপালে হাত ঠেকিয়ে প্রমাণ জানিয়ে বলেন, যদি তাঁর জন্য কোনও কারণে কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছেন।
কর্মজীবনের শেষ দিনে শুরুর দিনগুলির স্মৃতিচারণা করে ডিওআই চন্দ্রচূড়। এপ্রসঙ্গে বলেন, "যুবক বয়েসে আদালতে আসতাম আর খুঁটিয়ে দেখতাম এই আদালত ও আদালতের এই দুটি পোট্রেট। গতকাল রাতে ভাবছিলাম আজ দুপুর ২টোর সময় আদালত খালি হয়ে যাবে। টিভির স্ক্রিনে শুধু নিজেকে দেখবে। কিন্তু, আজ তার উলটো ছবি দেখলাম। আপনাদের সবার উপস্থিতি আমি অভিভূত। এখানে আমরা সবাই তীর্থযাত্রীর মতন এসেছি। ঠিক যেন পাখির মতো। অল্প সময়ের জন্য আমরা আসি কাজ করি আর চলে যাই। আশাকরি বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির নানা রকমের মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখবেন।"
এরপরই নিজের উত্তরসূরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সঞ্জীব খান্না খুব ভালো কাজ করবেন বলে মন্তব্য করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিদায়ী ভাষণে তাঁর কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমার পরে যিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব সামলাবেন তিনি অত্যন্ত শান্ত ও দৃঢ় স্বভাবের মানুষ। আদালত ও সংবিধান সম্পর্কে অত্যন্ত সচেত ও ঐতিহাসিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সমৃদ্ধ ব্যক্তি। আশাকরি তাঁর সময় ভারতীয় বিচারব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ দেশের বিচার ব্যবস্থা ও ন্য়ায় বিচারের প্রতি তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর সময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত আরও নতুন নতুন মাইলস্টোন স্পর্শ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। যা আগামী দিনে আমার পথকে আরও সুগম করে তুলবে বলেই বিশ্বাস করি। এর জন্য এই আদালতের সমস্ত বিচারপতি, কর্মী ও আইনজীবীদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।