নয়া দিল্লি : শুক্রবার মায়ানমার । আর শনিবার আফগানিস্তান। ২৯ মার্চ সকালে কেঁপে উঠল ভারতের এই পড়শি দেশ। আফগানিস্তানে ৪.৭ এবং ৪.৩ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৪:৫১ এবং ৫:১৬ টায় আঘাত হানে এই ভূমিকম্প দুটি । কিছুদিন আগেও একবার ভূমিকম্প হয়েছিল সেখানে। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে মানুষ।
এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানে কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এদিন আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের আগে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয় মায়ানমারে। কম্পন অনুভূত হয় থাইল্যান্ডেও। ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দুলে উঠেছিল মান্দালয়। আর তার অভিঘাতে দুলে উঠেছিল পড়শি দেশগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আকাশছোঁয়া । প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৪ এরও বেশি মানুষ। সংখ্যাটা বাড়ারই আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগানিস্তানে ৪.৩ এবং ৪.৭ মাত্রার ভূমিকম্পকে মধ্যম শ্রেণীর ভূমিকম্প বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতো, এরকম ভূমিকম্পকে দুর্বল ভাবাটা ভুল। এই মাত্রার ভূমিকম্পগুলিও ব্যাপক ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে।
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের ধাক্কাআফগানিস্তানে ঠিক ৮ দিন আগে অর্থাৎ ২১ মার্চ ৪.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। National Center for Seismology (NCS)-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ, এর কেন্দ্র ছিল মাটির ১৬০ কিমি নিচে। আফগানিস্তানে ১৩ মার্চও একটি ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪ । অর্থাৎ বারে বারে রিখটার স্কেলে ৪-এর আশেপাশে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েই চলেছে আফগানিস্তানে।
মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পশুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মায়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৭৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মায়ানমার ছাড়াও ভূমিকম্পের তীব্র ধাক্কায় থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষতি করেছে। দুর্ঘটনায় ব্যাংককে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।