শনিবার রাতে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তান। আর রবিবার গভীর রাতে কেঁপে উঠল এ-দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। তখন বেশির ভাগ মানুষই গভীর ঘুমে। হঠাৎ করেই অনুভূত হয় তীব্র কম্পন। এতটাই ধাক্কা যে , ঘুম থেকে ধড়মড়িয়ে ওঠেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ। আতঙ্কে ঘর ছা়ড়েন তাঁরা।
রাত তখন ২ টো বেজে ৪১। উত্তরপ্রদেশের বড় এলাকা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। তীব্র কম্পন অনুভূত হয় বিহারের কয়েকটি জেলাতেও। এরপর মানুষ ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তিব্বতে। ANI সূত্রের খবর, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৭। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ২৯.০২ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.৪৮ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
রাতে যখন ভূমিকম্প হয়, তখন বেশিরভাগ মানুষই গভীর ঘুমে ছিল। কিন্তু ধাক্কা এত তীব্র ছিল যে তারা ভয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়। নয়ডা-গাজিয়াবাদ-এর মতো শহরগুলির বহুতলের বাসিন্দারা এই কম্পন বেশি করে টের পান। বিশেষত যাঁরা উঁচু তলায় থাকেন, তাঁরা ভয় পেয়ে নেমে আসেন।তবে, ভূমিকম্পের ফলে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু, বহুক্ষণ এই সব জায়গায় চারপাশে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল।
তিব্বতে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু
ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তিব্বত অঞ্চলে জমির ১০ কিলোমিটার ভেতরে। কিন্তু, এর প্রভাব উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার পর্যন্ত অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর ওই এলাকার বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভিডিও এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বত হিমালয়ের যে অঞ্চলে পড়ে, সেটি যথেষ্টই ভূমিকম্প প্রবণ। তাই মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভূমিকম্প আসলে মানুষকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।
হালফিলেই তিব্বতে একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। ৯ মে-ও একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। স্থানীয় সময় রাত ৮:১৮ মিনিটে এখানে ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে হিমালয় এই দিকটা ভূমিকম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বিজ্ঞানীরা ভূতাত্ত্বিক গতিবিধির উপর ক্রমাগত নজর রাখছেন, যাতে সম্ভাব্য বিপদ আগে থেকে আঁচ করা যায়।