টোকিও : ফের ভয়াবহ ভূমিকম্প জাপানে (Earthquake in Japan)। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা পৌঁছল ৬.৪-এ। এমনই খবর জাপান আবহাওয়া দফতর সূত্রের। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল জাপানের বুঙ্গো চ্যানেলে। এটা এমন একটা প্রণালী যা জাপানের কাইশু দ্বীপকে শিকোকুর সঙ্গে আলাদা করেছে। তবে, সুনামির কোনো সতর্কবার্তা নেই (No Tsunami Warning)।


জাপান আবহাওয়া বিভাগ সূত্রের খবর, জাপানের স্কেল ১-৭ এর ভিত্তিতে এহিম ও কোচিতে  ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬। স্থানীয় সংবাদ পত্রের খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর নেই এখনও অবধি। 


এদিকে এহিমে অবস্থিত ইকাটা পারমাণবিক কেন্দ্রে একটি পারমাণবিক চুল্লিতে কাজ চলছিল। ভূমিকম্পের জেরে অবশ্য তাতে কোনো ক্ষতির খবর নেই। এমনই জানিয়েছে শিকোকু ইলেক্টিক পাওয়ার। 


প্রসঙ্গত, জাপানে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্পের ঘটনা দেখা যায়। বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা এই দেশ। গোটা বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ ভূমিকম্প হয় এখানে। যার তীব্রতা প্রায়ই থাকে ৬ বা তার বেশি। 


২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূল। যার তীব্রতা ছিল প্রায় ৯। এখনও পর্যন্ত যা জাপানে সবথেকে ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে গণ্য হয়। যার জেরে সুনামি হয়েছিল। যার জেরে বিশ্বের সবথেকে খারাপ পারমাণবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল।


চলতি বছরের শুরুতেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। বছরের প্রথম দিনই ৭.৬ তীব্রতায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মাটি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে পর পর প্রায় ১৫০ বার কম্পন অনুভূত হয়, তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তার পরেও মেলেনি নিস্তার। ভূমিকম্পের পর থেকে ৬০০-রও বেশি আফটারশক অনুভূত হয়েছে সেখানে। এর আগে, আইসল্যান্ডেও ১৪ ঘণ্টায় পর পর ৮০০ বার মাটি কাঁপার নজির রয়েছে। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে এত বার ভূমিকম্পের কারণ কী ? এর সম্ভাব্য কারণ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


জাপান থেকেই ভূকম্পবিদ্যার উৎপত্তি, যার আওতায় ভূমিকম্পের কার্যকারণ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এমনকি সুনামি নিয়ে গবেষণার সূচনাও জাপান থেকেই। ভূগর্ভে দু’টি টেকটোনিক পাতের মধ্যে যখন মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে অথবা একটি পাতের উপর অন্যটি উঠে যায়, তা থেকে তীব্র শক্তির উৎপন্ন হয়, যা ভূমিকম্পের আকারে ছড়িয়ে পড়ে। জাপান দেশটি এমন চারটি টেকটোনিক পাতের উপর অবস্থিত, নর্থ আমেরিকান, পেসিফিক, ইউরেশিয়ান এবং ফিলিপিন্স। (Earthquakes in Japan)


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।