জাকার্তা: ফের তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। শনিবার গভীর রাতে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৫। এখনও পর্যন্ত হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। ইন্দোনেশিয়ার মূল দ্বীপ জাভার দক্ষিণ অংশে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর আফটারশকেরও সতর্কবার্তা এসে পৌঁছেছে ইতিমধ্যেই। (Indonesia Earthquake)


স্থানীয় সময় অনুযায়ী, শনিবার রাত ১১টা বেজে ২৯ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। জাভা থেকে ১৫১ কিলোমিটার দূরে, গারুট রিজেন্সি এলাকায় ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল বলে জানা গিয়েছে। তবে কম্পনের ফলে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। আবহাওয়ার উপরও তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে দেশের আবহাওয়া দফতর। (Earthquake in Indonesia)


স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জাকার্তাতেও কম্পন বেশ অনুভূত হয়েছে। গগনচুম্বী বিল্ডিংগুলি বেশ কয়েক মিনিট ধরে কাঁপে। বানদুং, দেপক, বোগোর, বেকাসিতেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। জাভার পশ্চিমের যোগ্যকর্তা, পূর্ব দিকের অংশও অনুভূত হয়েছে কম্পন। তবে এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। 



আরও পড়ুন: Capital City Selection: দিল্লি, ওয়াশিংটন, লন্ডন...দেশের রাজধানী ঠিক হয় কী করে, মাপকাঠিই বা কী?


এমনিতে দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। ইন্দোনেশিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত ইন্দোনেশিয়া। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়ের মধ্যেই পড়ে, অর্থাৎ সেখানে মাটির নীচের পাতগুলি তুলনামূলক ভাবে বেশি সক্রিয়। তবে জাকার্তায় এত তীব্র কম্পন অনুভূত হওয়ার ঘটনা বিরল। 



এর আগে, ২০২২ সালে জাভার পশ্চিমের চিয়ানজুর শহরে তীব্র ভূমিকম্প হয়। সেবার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৬।  ওই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬০২ জন প্রাণ হারান। ২০১৮ সালেও ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ায়, সেবার কম্পনের দোসর হয় সুনামি, তাতে প্রায় ৪৩০০ মানুষ মারা যান। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্পের পর সুনামি আছড়ে পড়ে, তাতে সংলগ্ন দেশগুলি মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। সেবার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৯.১। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আচে প্রদেশে সর্বাধিক প্রাণহানি হয়।