২৮ মার্চের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের স্মৃতি এখনও  দগদগে। ৭.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে মায়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছিলেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ। ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল বহু বহুতল। এর মধ্যেই ফের ভয়ঙ্কর ভাবে দুলে উঠল মায়ানমারের মাটি। ফিরল অতীতের স্মৃতি। মঙ্গলবার (৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ভোরে ভূমিকম্পে দুলল দেশ। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪.৭ । ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কেঁপে ওঠে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিও । দুলে ওঠে মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অসমও। 

Continues below advertisement

ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজি (এনসিএস)-র মতে, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পনের কেন্দ্র ছিল মণিপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে উখরুলে।  মাটির ১৫ কিলোমিটার নিচে। নাগাল্যান্ডের ওখা থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ১৫৫ কিলোমিটার দূরে এবং ডিমাপুর থেকে ১৫৯ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। 

মণিপুরের উখরুল থেকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রজাতীয় ভূমিকম্প বিজ্ঞান কেন্দ্রের মতে, ভূমিকম্পটি মায়ানমারে ভারতের সীমান্তের খুব কাছে মণিপুরের উখরুল থেকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে হয়। এনসিএস-এর মতে ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি অবস্থিত।  অক্ষাংশ ২৪.৭৩ উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৯৪.৬৩ পূর্ব। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

Continues below advertisement

শনিবার বাংলাদেশেও ৩.৫ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। কলকাতা থেকে মাত্র ৮৯ কিলোমিটার পূর্বে-উত্তর-পূর্বে হয়।

ভূমিকম্প বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২৮ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে এ পর্যন্ত  শ-খানেক আফটারশক অনুভূত হয়েছে। বারার কেঁপে উঠেছে সাগাইং, মান্দালয় ও মাগওয়ের মতো বড় শহরগুলো। ধ্বংসের ছবি এখনও স্পষ্ট সেসব জায়গায়। ৮০ শতাংশেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

মহারাষ্ট্রের সাতারাতে ভূমিকম্প সোমবার রাতে মহারাষ্ট্রের সাতারাতেও ভূমিকম্প হয়।  গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মাটি। ভূমিকম্পের কেন্দ্র কোলাপুর থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মাটি থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল। এর পরে, তিব্বতে ভোর ৪টা ২৮ মিনিটে ৩.৩ তীব্রতার একটি ভূমিকম্প হয়, যাতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।