পূর্ব বর্ধমান: ‘তুই কি মরবি?’,রাত তিনটেয় হঠাৎই মেয়েকে ঘুম ভাঙিয়ে প্রশ্ন বাবার!


মেয়ের উত্তর, 'না! আমি জেঠু-ঠাকুমার কাছে থাকব!'

এরপরই স্ত্রী-ছোট্ট ছেলে ও নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন গৃহকর্তা!আগুনে ঝলসে মৃত্যু তিনজনেরই!

এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকে পাথর পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বাঘাসোন গ্রাম!

মা-বাবা ও ছোট ভাইকে আগুনে পুড়তে দেখে প্রতিবেশিদের ফোন করে বছর ১২ বছরের ছোট্ট মেয়েটা! বলে ‘আমাকে বাঁচাও!’

তড়িঘড়ি প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন, জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে! ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরইমধ্যে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয় বছর উনচল্লিশের সুদেবচন্দ্র দে,তাঁর স্ত্রী রেখা ও ছেলে স্নেহাংশুর।

মৃত সুদেব আরপিএফ কনস্টেবল ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সোমবারও ডিউটিতে গেছিলেন। বাড়ি ফিরে সন্ধেবেলা ছেলেকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানেও যান। তারপর হঠাৎই মাঝরাতে বিপত্তি!

দোতলা বাড়ির নীচের তলাতেই থাকেন মৃত সুদেব চন্দ্র দের মা ও দাদা!

মৃতের দাদা বাসুদেব দে বলেছেন,  সংসারে অশান্তি দেখিনি কখনও। মেয়ে ফোন না করলে জানতেই পারতাম না।

পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, একই পরিবারের তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা!

কিন্তু, কী কারণে মাঝরাতে সপরিবারে আত্মহত্যার কথা মাথায় এল আরপিএফ কনস্টেবল সুদেব দের? পারিবারিক অশান্তি নাকি মানসিক অবসাদ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।