বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: বেরিয়েছিলেন বন্ধুর মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে। ফেরার পথে আচমকা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন চার যুবক। দুর্ঘটনায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যুমুখে ঢলে পড়েন তিন যুবকই।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজন। নন্দকুমার থানা এলাকার ঘটনা। এমন ঘটনায় স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার মাদুয়াখালি এলাকার বাসিন্দা প্রলয় দাসের মায়ের শেষকৃত্য সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর চার বন্ধু। মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন তাঁরা।
কিন্তু ফেরার পথে দিনের শেষ যে এমন হবে তা কে ভেবেছিল? রাত দুটো নাগাদ হঠাৎ অঘটন। নন্দকুমারের কাঁটাপুকুরের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে ওই চার যুবকের মোটরবাইকটি।
নন্দকুমার থানার ওসি মনোজ ঝা, জানান গভীর রাতে তমলুক - ট্যাংরাখালি রোডে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিলেন ওই চার যুবক।
পরে নন্দকুমার থানার পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয়। তাঁরাই ওই চারজনকে উদ্ধার করে নন্দকুমারের খেজুরবেড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
সেখানে ওঁদের মধ্যে তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকি একজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানান চিকিৎসকেরা। সময় নষ্ট না করে ওই যুবককে তড়িঘড়ি তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে।
যে তিন যুবক মারা গেছেন, তাঁরা হলেন ২৪ বছরের রঞ্জিত ঘড়া, ২২ বছর বয়সী সৌমেন ঘড়া এবং ২৬ বছর বয়সী প্রভাষ মাইতি। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অদ্বৈত ঘড়া। আচমকা দুর্ঘটনায় একসঙ্গে তিন বন্ধুর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
আজই, বারুইপুরের বকুলতলায় নয়ানজুলিতে পিক আপ ভ্যান উল্টে মৃত্যু হল ৮ পরিযায়ী শ্রমিকের। আহত ১৫ জন। একইভাবে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে যায় যাত্রীবাহী বাস। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ জন। এঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থা দু'জনের।