কলকাতা: বছরের বিভিন্ন সময়ে ঋতু পরিবর্তন অনুযায়ী কিছু খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। গরমকালে যেমন আমরা শসা বা তরমুজ খাই শরীর শীতল রাখার জন্য, তেমনি সব ঋতুতে পাওয়া গেলেও শীতকালে গুড় খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী।


আখ বা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা মিষ্টি হল গুড়। তবে অনেক দেশে পামের রস থেকেও গুড় তৈরি করা হয়। রস সংগ্রহ করার পরে তা বড় পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা কিছুক্ষণ স্থির ভাবে রেখে দিয়ে জ্বাল দেওয়া হয়।এই রস আগুনের তাপে ফুটে ওঠে এবং গুড়ে পরিণত হয়। যেহেতু এটা প্রাকৃতিক মিষ্টি তাই এর আছে নানা উপকারিতা।


 শীতকালে গুড় খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।


গুড় শরীরে তাপ উৎপাদন করে এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে আছে উচ্চ মানের ক্যালোরিফিক, যা শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি যোগায়।


এই গুণের জন্য গুড় নানা রকম অসুখ যেমন- সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠাণ্ডার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে।


গুড়ে থাকে নানান খনিজ উপাদান। যেমন- লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণ দূরে রাখতে সহায়তা করে।


গুড় গলার সমস্যা যেমন- কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস করা দূর করত সাহায্য করে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন-কফ, বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। গুড় রক্ত পরিষ্কার করে। হিমোগ্লবিনের মাত্রা বাড়ায়। আর অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করে।


 শীতের শুষ্ক ঠাণ্ডা বাতাস জীবাণু বিস্তারের জন্য উপযুক্ত, যে কারণে আমাদের শরীর রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।গুড় শরীর থেকে অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস এবং খাদ্যনালী সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।


মোটের উপর বলাই যায় যে, গুড় সাধারণ যে কোনো অসুখ থেকে রক্ষা করতে শরীরকে শক্তি যোগায়।তাই শীতকালে খাবারের তালিকায় একে রাখতেই হবে।