নয়াদিল্লি: জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব না ফেলেই কীভাবে তুলে নেওয়া যায় লকডাউন? আজ বেলা ৩টেয় এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগের কয়েকটি বৈঠকের মত এটিও হবে ভিডিও কনফারেন্সে। মনে করা হচ্ছে, চলবে বেশ কয়েক ঘণ্টা।


দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। বিশেষ করে গুরুত্ব পাবে সব থেকে বেশি করোনা সংক্রমিত ২ রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত। এরপর কথা হবে লকডাউন পরবর্তী আর্থিক কাজকর্মে গতি আনা নিয়ে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বেশিরভাগই নিজ নিজ রাজ্যমুখী, অথবা ইতিমধ্যে ফিরে গিয়েছেন। ফলে অর্থনৈতিক কাজকর্ম ফের শুরু করায় সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সগুলিতে সব মুখ্যমন্ত্রী মতামত রাখেননি। কিন্তু এবার তাঁরা প্রত্যেকেই নিজস্ব মতামত ও অবস্থান জানাবেন। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এ মাসের ৪ তারিখের পর কড়াকড়ি শিথিল করার পর রাজ্যে রাজ্যে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে জানতে চান। তাঁর আরও প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীরা কড়াকড়ি কমানোর মধ্যেই লকডাউন চালিয়ে যেতে চাইছেন কিনা।

গতকাল কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিবের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে মুখ্য সচিবরা গৌবাকে বলেন, অতিমারী রুখতে পদক্ষেপ করার পাশাপাশি আর্থিক কাজকর্ম সংহতভাবে শুরু করা জরুরি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও সাবধানী, তাদের ধারণা লকডাউনের ফলে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যেটুকু ইতিবাচক ফল দেখা গিয়েছে, কড়াকড়িতে পুরোপুরি ঢিলে দিয়ে তা আবার ঝুঁকির মুখে ফেলা উচিত নয়।

সরকার মনে করছে, শ্রমিকরা নিজ নিজ রাজ্যে ফিরলেও করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়  সে জন্য নজরদারি বজায় রাখতে হবে। রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন যেমন চলছে তেমনই চলুক আপাতত। তবে রাজ্যের মধ্যে চলাফেরা আরও সহজ করা হোক। অফিসগুলো চালু হলেও বেশি কর্মী আনা উচিত নয়, বজায় রাখা হোক সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। ব্যবসা বাণিজ্য চালু হোক ধীরে ধীরে কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা কীভাবে মেটানো যাবে তার উপায় খুঁজছে কেন্দ্র।