শ্রীনগর: ফারুক আবদুল্লা ও আরও কয়েকজনের ১১.৮৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ব্যাপারে এই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সরকারি সূত্রের খবর, ইডি অবৈধ আর্থিক লেনদেন রোধ আইনের আওতায় একটি অস্থায়ী বাজেয়াপ্তকরণ অর্ডার জারি করেছিল। সেই অনুসারে পদক্ষেপ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিগুলি জম্মু ও শ্রীনগরের। সূত্রটি বলেছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায় আছে দুটি অস্থাবর সম্পত্তি, দুটিই আবাসন, একটি বাণিজ্যিক সম্পত্তি, আরও তিনটি জমি। সবগুলির বুক ভ্যালু ১১.৮৬ কোটি, তবে বাজারমূল্য প্রায় ৬০-৭০ কোটি টাকা।
এই মামলার তদন্তে ৮৩ বছরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) শীর্ষ নেতা ফারুককে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। শেষ তিনি শ্রীনগরে জেরার মুখে পড়েছেন অক্টোবরে।




এদিকে ইডি-র দায়ের করা তাঁর বাবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অস্থায়ী আদেশকে ভিত্তিহীন বলেছেন ওমর আবদুল্লা। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি কীভাবে অপরাধের ফসল বলা যায়, প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এনসি সহ সভাপতি ওমর একগুচ্ছ ট্যুইট করে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লা নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এইসব অর্থহীন অভিযোগের মোকাবিলা করবেন একটাই জায়গায়, যার দাম আসছে, অর্থাত্ আদালতে। ওমর বলেন, মিডিয়া বা বিজেপির ম্যানেজ করা সোস্যাল মিডিয়ার আদালতে এটা হয় না, কিন্তু তাছাড়া প্রত্যেককে নিরপরাধ বলে ধরা হয়, প্রত্যেকের ন্য়য়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। ওমর বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি মূলতঃ সত্তরের দশক থেকে তৈরি করা পৈত্রিক সম্পত্তি, সর্বশেষ যা তৈরি হয়েছে ২০০৩ সালে। এই বাজেয়াপ্তকরণের কোনও যুক্তিই নেই, কেননা তা ‘অপরাধে’র মাধ্যমে অর্জিত হওয়ার যুক্তিই খাটে না!