নয়াদিল্লি ও কলকাতা: শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দিল্লিতেও আপ সাংসদ এন ডি গুপ্তার (ED Raid In AAP MP Residence) দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি করেছে ইডি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিবের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সব মিলিয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ১০ জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।


যা হল...
মঙ্গলবার থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব বিভব কুমারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। একই সঙ্গে অভিযান চলছে আপের রাজ্যসভা সাংসদ এন ডি গুপ্তার বাসভবনেও। দিল্লি জল বোর্ডের অর্থ তছরুপ মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি, খবর ইডি সূত্রে। গত ৩১ জানুয়ারি, অথ তছরুপ প্রতিরোধী আইনের আওতায় দিল্লি জল বোর্ডের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার জগদীশ কুমার অরোরা এবং অনিল কুমার আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সিবিআই এই নিয়ে যে এফআইআর রুজু করেছিল, তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। এফআইআরে অভিযোগ, দিল্লি জল বোর্ডের প্রাক্তন M/s NKG Infrastructure Ltd নামে একটি সংস্থা,মানদণ্ডে না উতরোনো সত্ত্বেও তাদের দিল্লি জল বোর্ডের ৩৮ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার জগদীশ কুমার অরোরা। গত সপ্তাহে, ইডি একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়,  ভুয়ো তথ্য জমা দিয়ে ওই বরাত পেয়েছিল NKG Infrastructure Ltd। এই জন্য উৎকোচ দেওয়া-নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। শোনা যায়, জগদীশ ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে উৎকোচের অর্থ পাঠানো হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তেই এবার তল্লাশি আপ রাজ্য়সভা সাংসদের বাসভবনে।


১০০ দিনের কাজের তদন্ত-ও...
দিল্লির পাশাপাশি কলকাতাতেও ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই প্রথম ১০০ দিনের কাজের টাকার দুর্নীতির তদন্তে নামল ইডি। কলকাতা-সহ ৪টি জেলার ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। ১০০ দিনের কাজের টাকায় দুর্নীতি-তদন্তে  সল্টলেকে সরকারি আধিকারিকের দুটি ফ্ল্যাটে হানা। সরকারি আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দাদের। ঝাড়গ্রামে ডব্লুবিসিএস আধিকারিকের সরকারি ফ্ল্যাটেও হানা ইডি-র। বহরমপুরে সাসপেন্ড হওয়া পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। এর মধ্যে বাছুরডোবা সরকারি আবাসনের ফার্স্ট ফ্লোর বা দোতলায় থাকেন ডব্লুবিসিএস অফিসার তথা সংখ্যালঘু সেলের আধিকারিক শুভ্রাংশু মণ্ডল। সকাল ৮টা নাগাদ তাঁরই ফ্ল্যাটে আসেন ৬ সদস্য়ের ইডি-র টিম। জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব চলে। এই ৬ জন ইডি আধিকারিক আসার পরই স্থানীয় থানার আইসি বিপ্লব কর্মকার সেখানে আসেন। ইডি আধিকারিকদের তিনি প্রশ্ন করেন, এই তল্লাশির জন্য কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট এনেছেন কিনা। জবাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে জানানো হয়, পুলিশ সুপারকে ই-মেল মারফত সার্চ ওয়ারেন্ট পাঠানো হবে। এই কথা বলার পর মিনিট পনেরো ফ্ল্যাটের বাইরে অপেক্ষা করেন বিপ্লব কর্মকার। সূত্রের খবর, এর মধ্যে পুলিশের সুপারের কাছে ই-মেল মারফত ওয়ারেন্ট যায়নি। ১৫ মিনিট পর আইসি ফ্ল্যাটে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আবাসন ঘিরে তল্লাশি চলছে। এর পর ৬ জন ইডি আধিকারিকের মধ্য়ে ১ জন নেমে এসে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখান ঝাড়গ্রাম থানার আইসি-কে। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেও আবাসনের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন।


 


আরও পড়ুন:'বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন..', সুকান্তের নিশানায় 'মুখ্যমন্ত্রী'