মাথাভাঙা ও বেলেঘাটা : অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বাংলা মদনদে কে ? কিন্তু, তার আগেও হিংসার ছবি অব্যাহত রইল। কী উত্তরবঙ্গ, কী দক্ষিণবঙ্গ। গণনার কিছু আগে একে উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে বোমা নিয়ে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলল তৃণমূল ও বিজেপি। একটি ঘটনা কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার, অপরটি কলকাতার বেলেঘাটার।


গতরাতে বেলেঘাটায় বিজেপির পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কলকাতা পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের আগের দিন থেকেই এলাকার বিজেপি সমর্থক পরিবারগুলিকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গতরাতে তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে এসে বোমাবাজি করে। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় বেলেঘাটা থানার পুলিশ। এনিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


অপর ঘটনাটি কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার। গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই মাথাভাঙ্গার পচাগড়ে তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা। এদিন ভোর ৪টে নাগাদ বাড়ির সামনে বোমা পড়ে থাকতে দেখেন তৃণমূল কর্মী এক্রামুল হক। তাঁর দাবি, ভয় দেখাতেই বোমা রেখে যায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


যদিও গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, মাথাভাঙায় হারবে জেনে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।


প্রসঙ্গত, এবারের ভোটে অন্যতম নজর শীতলকুচি। কোচবিহার জেলার এই কেন্দ্রটি খবরের শিরোনামে উঠে আসে। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ ছিল শীতলকুচিতে। ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর পর, শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। এই বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ হয়। এখানে প্রথম রাউন্ড শেষে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্ার্থপ্রতিম রায়।


এদিকে কোচবিহার জেলার দিনহাটা কেন্দ্রও নজরকাড়া। কারণ, এখানে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ ও বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। ভোট-পর্বে কম অশান্তি দেখেনি উত্তরবঙ্গের এই কেন্দ্রটি। অন্যদিকে, নাটাবাড়ি কেন্দ্রে এবার নজরে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিজেপির মিহির গোস্বামী।