নয়া দিল্লি : এয়ার ইন্ডিয়া কেনার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে টাটা গ্রুপ।নিলামের দরে পিছনে পড়ে থাকছে স্পাইসজেট?পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে দেশের অন্যতম গর্বের সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া কেনার ক্ষেত্রে চালকের আসনে টাটা।


চলতি অর্থবর্ষেই ছিল বিক্রির কথা।সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। তারই ফলস্বরূপ দেশের ফ্ল্যাগশিপ কেরিয়ার এয়ার ইন্ডিয়ার নিলামের পদ্ধতি শুরু হয়েছে সম্প্রতি। সূত্রের খবর, কোভিড পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় ফের যাত্রীসংখ্যা কমেছে বিমানের। নতুন করে নানা দেশ থেকে ভারতের বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যার জেরে মেইটেইন্যান্স কস্ট সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়াকে। যার ফলে নিলামে আরও কম বিডিং রাখা হয়েছে।


বহদিন ধরেই লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চলতি অর্থবর্ষ শেষের আগেই ভারতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করা হবে।তবে যার-তার হাতে এই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রিতে সহমত নয় সরকার। তাই বিক্রির ক্ষেত্রেও তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু মানদণ্ড।সেক্ষেত্রে বিমান পরিষেবার সঙ্গে কোম্পানির সরাসরি যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে ইচ্ছুক কোম্পানি কত বছর ও কোন কোন দেশে বিমান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারও উল্লেখ করতে হবে নিলামে অংশ নিতে। 


এ ছাড়াও কোম্পানির ব্র্যান্ড,গুডউইল ও মার্কেট ভ্যালু জানাতে হবে কোম্পানিকে।এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট ও পেনশনের বিষয়ে বিগত দিনে কোম্পানি কী ব্যবস্থা করেছে, তা জানতে চাওয়া হয় বিডিং প্রসেসে। সম্প্রতি 'ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট' (DIPAM)-এর সেক্রেটারি তুহিনকান্ত পান্ডে জানান, কোভিড মহামারীর কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হচ্ছে।কোনও কিছু কেনার ক্ষেত্রে তার সম্পত্তির সম্পর্কে জানাটা বিডারের অধিকার। এই ক্ষেত্রে মহামারীর কারণে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সম্পত্তি দেখতে পারেননি বিডাররা।


মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, টাটা সন্স ও স্পাইসজেটই এয়ার ইন্ডিয়া কেনার ক্ষেত্রে বিডিংয়ের ছাড়পত্র পেয়েছে। লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে বেশি দর দিয়েছে টাকা। সেই তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে স্পাইসজেট। যদিও এটা কেবলই প্রিলিমিনারি বিডিং রাউন্ড। পরবর্তীকালের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সব পক্ষ।