নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বার বার তিরস্কৃত হওয়ার পর নির্বাচনী বন্ড নিয়ে হলফনামা জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার SBI চেয়ারম্যান দীনেশকুমার খড়া হলফনামা জমা দেন। হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যত নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে এবং যত বন্ড ভাঙিয়ে টাকা তোলা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। (Electoral Bond Data)


আদালতে যে হলফনামা জমা দিয়েছে SBI, তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী বন্ড কে কিনেছেন, কত টাকার কিনেছেন, বন্ড ভাঙিয়ে কবে কত টাকা তোলা হয়েছে, কোন দল, কত টাকা চাঁদা পেয়েছে, সব তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে মোট ২২ হাজার ২১৭ নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়। এর মধ্যে থেকে ২২ হাজার ৩০ বন্ড ভাঙানো হয়েছে এবছর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। (Electoral Bonds Row)


SBI জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিলের মধ্যেই ৩ হাজার ৩৪৬ নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়। এর মধ্যে থেকে ১ হাজার ৬০৯ নির্বাচন বন্ড ভাঙানো হয়। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।  ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮৭১ নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়। ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড ভাঙানো হয় ২০ হাজার ৪২১।


আরও পড়ুন: Electoral Bonds Information:সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ECI-কে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য দিল SBI


মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের কাছে ডিজিটাল ফরম্যাটে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জমা দেয় SBI. বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বুধবার রাতে সেখান থেকে দিল্লি ফেরার কথা তাঁর। ১৫ মার্চের মধ্যে SBI প্রদত্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়ার কথা।


নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে বাড়তি সময় চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল SBI. কিন্তু সোমবার তাদের সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য জমা দিতে বলা হয়। পাশাপাশি SBI-এর তরফে হলফনামাও চায় শীর্ষ আদালত। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা করা হয়, যার মাধ্যমে এতদিন রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতেন বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার মালিক এবং তাবড় শিল্পপতিরা। সেই সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হতো, যা দেশের সংবিধানের পরিপন্থী বলে জানায় শীর্ষ আদালত।