বিজেন্দ্র সিংহ, নয়া দিল্লি : নির্বাচনী বন্ডের (Electoral bonds ) পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ককে (SBI), ফের স্টেট ব্যাঙ্ককে ডেডলাইন দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে বন্ডের সিরিয়াল নম্বর সহ সব তথ্য দিতে হবে বলে ফের সময় বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। দেওয়া হল স্টেট ব্যাঙ্ককে হলফনামা জমা করার নির্দেশ । এসবিআই তথ্য দেওয়ার পরই নির্বাচন কমিশনকে ওয়েবসাইটে তা আপলোড করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে ২১শে মার্চের মধ্যে বন্ড নম্বর সহ সমস্ত নির্বাচনী বন্ডের বিশদ বিবরণ প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে৷ পিটিআই সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এদিন এসবিআইকে বন্ডের সমস্ত বিবরণ প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ককে বলে দেওয়া হল, তারা যেন অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা না করে। এদিন প্রধান বিচারপতি স্টেট ব্যাঙ্ককে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আদালত তাদের থেকে সমস্ত তথ্য চায়। সেই সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ককে একটি হলফনামা প্রকাশ করতে হবে, যেখানে বলা থাকবে তারা কোনও তথ্য গোপন না করে সব তথ্য প্রকাশ করেছে। তারপর ব্যাঙ্কের দেওয়া সব তথ্য নির্বাচন কমিশনকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। শুক্রবারই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল এসবিআইয়ের জমা করা তথ্য সম্পূর্ণ নয়। সেদিনও আদালত ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেয় সব তথ্য প্রকাশ করতে। গত মঙ্গলবার নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যে তথ্য এসবিআই শীর্ষ আদালতে পেশ করে তাতে প্রাপক দল ও অনুদানকারীদের নাম থাকলেও ছিল না বন্ড নম্বর। এই বন্ড নম্বর সামনে এলে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত আরও তথ্য রবিবার প্রকাশ্যে আনে নির্বাচন কমিশন। মুখবন্ধ খামে যে তথ্য সর্বোচ্চ আদালতে জমা পড়েছিল, আদালতের নির্দেশে সেই তথ্য রবিবার তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৫০৯ কোটি টাকার বন্ড কেনা হয়েছে লটারি কিং স্যান্টিয়াগো মার্টিনের সংস্থা ফিউচার গেমিংয়ের নামে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সর্বাধিক ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা গিয়েছে বিজেপির ভাঁড়ারে। যার মধ্যে ২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা তারা পেয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে। নির্বাচনী বন্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলার শাসকদল তৃণমূল পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা, যা বিজেপির পরে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কংগ্রেস পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার কিছু বেশি। এছাড়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তামিলনাড়ুর বর্তমান শাসকদল ও ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক ডিএমকে, ৬৫৬ কোটিরও বেশি চাঁদা পেয়েছে।