কলকাতা: চুল পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন‌। কিন্তু একটি বয়সের পর এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আর সেই বয়সটি হল ৪০।‌ ৪০ বছর বয়সের পর চুল পড়ার সমস্যা কিছু ক্ষেত্রে যেন রুটিন হয়ে যায়‌। মহিলা ও পুরুষ, উভয়েই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। কিন্তু চল্লিশ পেরোলেই কেন চুল পড়ার হার বাড়ে। কিছু ক্ষেত্রে টাকও পড়ে যায় অকালে। শারীরিক কোন কোন কারণ ইন্ধন জোগায় চুল পড়ায় ? বিশদে জেনে নেওয়া যাক।


চল্লিশের পর চুল পড়ার কারণ


মহিলা ও পুরুষদের এই চুল পড়ে যাওয়াকে অ্যান্ড্রোজেনেটিক আ্যালোপেশিয়া বলা হয়।


হরমোনের সমস্যা - দীর্ঘদিন ধরে হরমোনের সমস্যায় ভুগতে থাকলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। 


মহিলাদের মেনোপজ - চল্লিশ পেরোনো মানে মেনোপজের সময় হয়ে আসা। মহিলাদের শরীরে এই সময় স্ত্রীহরমোন হেরফের ঘটে।  যার প্রভাব মন ও শরীর দুদিকেই পড়ে। শারীরিক বিভিন্ন প্রভাবের মধ্যে চুল‌ পড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। 


জিনগত কারণ - জিনগত কারণেও চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। জিনের কিছু বৈশিষ্ট্য প্রচ্ছন্ন থাকে। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর সেই বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। যার মধ্যে চুল‌পড়াও রয়েছে।‌


চুলের যত্নের কায়দা - চুলের যত্ন কীভাবে নেন, কী কী ধরনের স্টাইল করেন, সেগুলিও দেখতে হবে। কারণ অনেক সময় তারুণ্য ধরে রাখতে চুলের কিছু স্টাইল বিপজ্জনক হতে পারে।‌ প্রসাধনী দ্রব্যের প্রভাবেও চুল পড়তে পারে।


চুল পড়া আটকানোর উপায় ?


চুল‌পড়া আটকাতে কিছু ঘরোয়া সমাধানের উপর ভরসা রাখতে পারেন। 


অ্যালোভেরা‌ জেল - কেরাটিন প্রোটিনের মতোই কিছু সদৃশ প্রোটিন থাকে অ্যালোভেরা‌ জেলে। যা চুল‌পড়া আটকাতে উপকারী‌ ।  নিয়মিত এই জেলটি চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার করলে চুল পড়া আটকানো যায়। 


পেঁয়াজের রস - চুল পড়া আটকাতে সেরা কাজ দেয় পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের রসের মধ্যে আয়রন ও জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে। এই দুটি উপাদান চুলের গোড়া শক্ত করে। চুল‌ বড় হতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস।‌


আমলকি - ভিটামিন সি-এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকি‌। এটি চুল‌পড়া আটকায়। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকির রস চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন।


আরও পড়ুন - Health Tips: মরসুম বদলে কেন খাবেন এলাচ ? সর্দিকাশি বাদে আর কোন কোন রোগের যম