নয়াদিল্লি: গত কয়েক বছরে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। সদ্য সমাপ্ত হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও সেই বিতর্ক ফিরে আসে। এবার বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামকে মোটেই বিশ্বাস করেন না। শুধু তাই নয়, বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবিও তুলেছেন মাস্ক। (Elon Musk on EVM)


আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের। প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন মাস্ক। এমনকি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের খরচ বাবদ তিনি মোটা টাকা অনুদান দিয়েছেন বলেও খবর। 
আর সেই আবহেই বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মাস্ক। তাঁর কথায়, "আমার মত হল, কাগজের ব্যালট, হাতে গোনার পদ্ধতি। কম্পিউটার সম্পর্কে অনেকটাই জানি আমি। একেবারেই বিশ্বাস করি না। আমি প্রযুক্তিবিদ। কম্পিউটার প্রোগ্রামে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই আমার। সহজেই সেটি হ্যাক করা সম্ভব, একলাইনের কোডই যথেষ্ট। কাগজের ব্যালট হ্যাক করা কষ্টকর।" (Electronic Voting Machine)


আগেও বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাস্ক। এবছর জুন মাসেও সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন মাস্ক। তাঁর যুক্তি ছিল, মানুষের পক্ষে তো বটেই, AI দিয়েও বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র হ্যাক করা সম্ভব। মাস্কের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় ভারতেও। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও মাস্কের মন্তব্যে সমর্থন জানান। বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রকে 'ব্ল্যাকবক্স' বলেও উল্লেখ করেন রাহুল।



কিন্তু বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর, যিনি সেই সময় দেশের বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন, তিনি মাস্কের দাবি খারিজ করে দেন।  বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র নিয়ে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। এমনকি ভারতে তৈরি বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র নিয়ে মাস্ককে 'টিউশন' পড়ানোর প্রস্তাবও দেন তিনি। সম্প্রতি বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠলে, নির্বাচন কমিশনও তা খারিজ করে দেয়। কিন্তু আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে নতুন করে বৈদ্যুতিন ভোটন্ত্র নিয়ে মন্তব্য করলেন মাস্ক, তাতে বিষয়টি নিয়ে আরও জলঘোলা হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।