কলকাতা : কার্তিক মাস চলবে ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। কার্তিক মাসের নামকরণ করা হয়েছে কার্তিকেয় স্বামীর নামে। ভগবান নারায়ণ ব্রহ্মাকে, ব্রহ্মা নারদকে এবং তিনি মহারাজ পৃথুকে কার্তিক মাসের কথা বলেছেন। কিছু কাজ বা প্রতিকার আছে যা বিশেষ করে কার্তিক মাসে করা উচিত। এর মাধ্যমে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায় এবং জীবনে কখনও দুঃখের সম্মুখীন হতে হয় না।


কার্তিক মাসে এই উপায়গুলি বেছে নিন-


কার্তিক মাসে ধনতেরস হল ওষুধের জনক ধন্বন্তরীর পুজোর দিন। ধনতেরসের দিন, ভগবান ধন্বন্তরী অমৃত ও ওষুধের পাত্র নিয়ে আবির্ভূত হন। তাঁর পুজো করলে স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু পাওয়া যায়।


কার্তিক মাসে কম কথা বলা উচিত। মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কাউকে খারাপ কথা বলবেন না এবং বিবাদ এড়িয়ে চলুন। এই দিনগুলিতে ব্রহ্মচর্যের নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। এতে করে ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয় এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।


এই পবিত্র মাসে, সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে তীর্থস্থান বা পবিত্র নদীর জলে স্নান করা উচিত। যদি আপনি এটি করতে সক্ষম না হন তবে জলে গঙ্গা জল মিশিয়ে বাড়িতে স্নান করে তীর্থযাত্রা করার পুণ্য পেতে পারেন। এইভাবে স্নান করলে শুধু রোগ নিরাময় হয় না, জ্ঞাতসারে বা অজান্তে করা সকল প্রকার পাপও দূর হয়। 


কার্তিক মাসে আপনি যদি সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলের সঙ্গে কয়েকটি তুলসি পাতা গিলে নেন, তাহলে সারা বছর রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন। এ মাসে মূলো, গাজর, মিষ্টি আলু ও অন্যান্য ধরনের কন্দ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।


কার্তিক মাসে ভগবান বিষ্ণুর শালগ্রাম রূপের পুজো করলে মহা পুণ্য লাভ হয়। এই মাসে তুলসি ও আমলা গাছের পুজো করার রীতি রয়েছে। এটি করলে সুখ, সমৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য আসে।


কার্তিক মাসে কী করবেন না ?


কার্তিক মাস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। বর্তমানে দু'টি ঋতু পরিবর্তনের মধ্যবর্তী সময়ের কারণে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে এবং বয়সও বৃদ্ধি পায়। তাই কার্তিক মাসে পুরো নিত্যদিনের রুটিন পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে শাস্ত্রে। এর মধ্যে খাওয়া, পান এবং ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি বলা হয়েছে। এগুলো গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং আয়ুও বৃদ্ধি পায়।


রোজ সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে


এই দিনগুলিতে নদীতে স্নানের পরম্পরা আছে


অনেকে নদীতে দীপদানও করেন


এই দিনগুলিতে শিম এবং ডাল খাওয়া উচিত নয়।


তেল মালিশও করা উচিত নয়। এসবের যত্ন নিলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়।