নয়াদিল্লি: বাসে চড়ে রোজকার কাজে যাচ্ছিলেন নিত্যযাত্রীরা। হঠাৎই বাসে লাফিয়ে উঠে পড়লেন তিনি। তাঁকে দেখে চমকে গেলেন যাত্রীরা। এবার তিনি কথা বলতে এগিয়ে এলেন। মহিলা যাত্রীদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন নিখরচায় বাসে চড়তে পারায় খুশি তো তাঁরা? কতটা সুবিধে হচ্ছে তাঁদের? খোলা মনে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন যাত্রীরা। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং অরবিন্দ কেজরীবাল। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে খুশি তিনিও। কেজরীবাল জানান, যেসব মহিলা পড়াশোনা বা চাকরির জন্য রোজ বাসে চড়েন, কিংবা কেনাকাটা করতে যান, অথবা ডাক্তারের কাছে যান, তাঁরা সকলেই খুব খুশি। দিল্লিতে আর বাসভাড়া দিতে হচ্ছে না মহিলা যাত্রীদের। কেজরীবাল সরকারের এই নতুন নীতি নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। তবু সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আশাবাদী কেজরীবাল। বিভিন্ন বাসে সফররত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানিয়েছেন, যাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা, তাঁরা খুশি। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৪.৭৭ লক্ষ মহিলা ফ্রি-রাইডের সুবিধা লাভের জন্য পিঙ্ক টিকিট কিনেছেন। দিল্লি শহরের সাড়ে ৫ হাজারের উপর বাসে চড়তে গেলে আর ভাড়া দিতে হবে না মহিলাদের। আর এর জন্য বাস মালিকদের টাকা দেবে দিল্লি সরকার। অপর একটি ট্যুইটে কেজরিবাল লেখেন, বাস মার্শালের উপস্থিতিতে বাসযাত্রীরা সুরক্ষিত মনে করবেন। মহিলাদের মধ্যে ইভ-টিজারদের নিয়ে আতঙ্ক কমবে। এই প্রসঙ্গে কেজরীবাল বলেছেন, পরিকাঠামোগত অসাম্যের কারণে দিল্লিতে মোট কর্মরতদের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ মহিলা। দিল্লি মেট্রোর মোট যাত্রীদের মধ্যে মোটে ৩০ শতাংশ মহিলা। সকলে বলছে, কেজরীবাল সবকিছু ফ্রি করে দিচ্ছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলিকে সংকীর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট স্বার্থের উপরে উঠতে হবে।