ইডি সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে এক বৈঠকে ঠিক হয়, এর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে তারা। অর্থাত্ কোথা থেকে কোথায়, কার হাতে, কীভাবে পৌঁছত গরু পাচারের টাকা? কোন কোন প্রভাবশালীর হাতে সেই টাকা গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে ইডি। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত ভার হাতে নেবে ইডি।
সীমান্তে কীভাবে গরু পাচার হত? কারা কারা জড়িত ছিল? এনিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, এই মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। গরু পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই এনামুল হক নামে এক ব্যবসায়ী ও সতীশ কুমার নামে এক বিএসএফ কমান্ডান্টকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, সতীশ কুমারের সিনিয়র অফিসারদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।
দু’বছরের ব্যবধানে সিবিআইয়ের জালে ২ বিএসএফ কমান্ডান্ট। কোটি কোটি টাকার কালো ব্যবসা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, দিল্লিতেও বিস্তার করতে পারে চক্রের জাল! দু’টি মামলাতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে কাস্টমসের ভূমিকাও। আতস-কাচের তলায় তাদেরও অফিসারদের একাংশ।