নয়াদিল্লি: চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দিকগুলি সুনিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো চিকিৎসকদের যথেষ্ট পুলিশি নিরাপত্তা দিতে অবিলম্বে ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত। চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতাল ও কোয়ারান্টিন সেন্টারে যাওয়া বা ফেরার সময় যাতে পুলিশি নিরাপত্তা পান, সেই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পুণ্য় সলিলা শ্রীবাস্তব বলেন, এটা জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব লকডাউনের নির্দেশিকা কঠোরভাবে যাতে পালন করা হয়, তা নিশ্চিত করা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ফের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে, যেখানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। যাঁরা সামনে থেকে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
শ্রীবাস্তব বলেন, অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী এবং তার জোগান নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। প্রত্যেক পর্যায়ে ও ধাপে তার পর্যবেক্ষণ চলছে। কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রুখতে এনসিসি, এনএসএস ও অসামরিক প্রতিরক্ষা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও বিভিন্ন সচেতনতামূলক অভিযান চালাচ্ছে। মানুষকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে অবগত করছে। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলে এই ভাইরাস ও তার সংক্রমণ সম্পর্কে মানুষকে বোঝাচ্ছে। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গায় যেখানে মানুষ আটকে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শুকনো রেশন, প্যাকেটজাত খাবার বণ্টন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, কারও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করছে বাহিনী।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৫২৯। মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ২৪২ জন। জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৫৩ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১,০৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গিয়েছেন ৪০ জন।