নয়াদিল্লি: কেউ বলছে সংখ্যাটা ২০০, কারও আবার দাবি ৩০০। আসলে, মধ্য গাজার অল-অহলি আরবি বাপতিস্ত হাসপাতালের (Gaza Hospital Bombed) তীব্র বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কোনও কোনও সূত্রের মতে, মঙ্গলবারের এই ঘটনায় ৫০০ জনের প্রাণ গিয়েছে। হামাস (Israel Hamas War) নিয়ন্ত্রিত গাজার (Israel Gaza Violence) স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অভিযোগ, ইজরায়েল নতুন করে বোমাবর্ষণ করার পরই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছে হাসপাতালে। হামাসের আরও দাবি, কোনও রকম সতর্কবার্তা ছাড়া হাসপাতালে হামলা চালায় ইজরায়েল। যদিও আইডিএফের তরফে বক্তব্য, হাসপাতালের পরিস্থিতি আদৌ তাদের হামলার জেরে হয়েছে নাকি হামাসের ব্যর্থ হামলার প্রমাণ, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। দায় কার, তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে। তবে ফলাফল যে ভয়ঙ্কর, সেটা বুঝছেন অনেকেই। নিহতের তালিকায় অন্তত ২০ জন ত্রাণকর্মীও রয়েছেন, জানাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আগামী তিন দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্যালেস্তিনীয় অথরিটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। 


ভয়ঙ্কর...
বুধবার ইজরায়েলে আসার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। ইজরায়েলের অবস্থান সমর্থনের পাশাপাশি তিনি যে গাজার বাসিন্দাদের অমানবিক কষ্ট কমানোর জন্য ত্রাণের পক্ষেও সওয়াল করছেন, সে নিয়ে স্পষ্টতর বার্তা দিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ গাজায় শর্তসাপেক্ষে ত্রাণসামগ্রী ঢুকতে দিতে রাজি তারা। কিন্তু হামাস কোনও ভাবে বাধা দিলে ফের অবরোধ লাগু হয়ে যাবে। গত শনিবার, হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে পশ্চিম এশিয়ার ওই অঞ্চলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ইজরায়েলের ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়। অন্তত ১ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর প্রশাসনের পণ, এবার হামাসকে পুরোপুরি মুছে ফেলা হবে। সে জন্য একদিকে গাজায় জল-জ্বালানি-খাবারের উপর অবরোধ তৈরি করেছে ইজরায়েল। ফলে এমনিতেই কার্যত নরকের পরিস্থিতি একচিলতে ভূখণ্ডে। লাশের স্তূপ চারদিকে, কিন্তু জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় যন্ত্র নিষ্ক্রিয়, তাই মর্গও কাজ করছে না। হাসপাতালে জখম মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। কিন্তু পরিষেবা দেওয়ার অবস্থা নেই, কারণ বেশিরভাগ হাসপাতালেই জ্বালানির রসদ শেষের মুখে বা শেষ। খাবার, পানীয় জল, ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের ভাঁড়ার তলানিতে। ধুঁকছে গাজা। তার মধ্যে এয়ারস্ট্রাইক, ছেড়ে কথা বলছে না হামাসও। এবার একেবারে হাসপাতালে বিস্ফোরণ।
সেখানে কর্মরত এক ডাক্তারের কথা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত ৪ হাজার ওই হাসপাতালে ঠাঁই নিয়েছিল। বিস্ফোরণের পর তাঁদের অনেকে মারা গিয়েছেন, বাকিরা ভয়ঙ্কর জখম। এই হামলার নিন্দা করে কড়া বার্তা দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস। এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেন তিনি।






জোরালো আলোচনা...
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক অবশ্য আজই জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাব এখন চূড়ান্ত। অনেকে জলশূন্যতায় মারা যাচ্ছেন। চারদিকে হাহাকার, ধ্বংস, লাশের সারি...যুদ্ধ অবশ্য থামছে না।


 


আরও পড়ুন:সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, দীপাবলির বোনাস ঘোষণা