মাদ্রিদ: গোটা ইউরোপ ধরাশায়ী হয়েছিল তার দাপটে। কিন্তু ওষুধ তৈরি না হলেও এবার ধীরে ধীরে ইউরোপ ছাড়ছে করোনা। যত দিন যাচ্ছে তত তার দাপট কমছে। স্পেন, ইংল্যান্ডে যেমন করোনায় মৃতের সংখ্যা গতকাল ছিল সর্বনিম্ন।


বিশ্বে আমেরিকার পর স্পেনেই করোনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে গতকাল চোখ ধাঁধানো সাফল্য পেয়েছে তারা। মৃতের সংখ্যা গতকাল ছিল মাত্র ৮৭, গত ২ মাসে সর্বনিম্ন। ব্রিটেনেও মার্চের শেষ থেকে ধরলে গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিল সব থেকে কম, ১৭০। দু’দেশই কড়াকড়িতে বেশ কিছু শিথিলতা এনেছে। ইতালি থেকেও দৃশ্যত পাততাড়ি গোটাচ্ছে করোনা।  কাল সেখানে নতুন করে মাত্র ৬৭৫ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা এবার দোকানপাট, রেস্তোঁরা, সালোঁ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গিসেপ্পে কঁতে বলেছেন, তাঁদের আশা, জুনের মধ্যে সীমান্ত ও আর্থিক ক্ষেত্র খুলে দেওয়া যাবে।

জার্মানিতেও শুরু হয়ে গিয়েছে বুন্দেসলিগা। সেরা ফুটবল লিগগুলির মধ্যে এরাই প্রথম, যারা লকডাউনের পর ফের চালু হল। রবিবার সন্ধেয় প্রথম ম্যাচ হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ ও ইউনিয়ন বার্লিনের মধ্যে, তবে স্টেডিয়াম ছিল ফাঁকা। প্রথম ম্যাচ বায়ার্ন জিতেছে ২-০ গোলে। স্টেডিয়ামে আসতে না পারলেও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ টেলিভিশনে খেলা দেখেছেন। যদিও খেলোয়াড়রা যেভাবে পুরনো অভ্যেসমত করোনার নিয়মকানুন না মেনে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছেন তাতে সমালোচনাও করেছে কোনও কোনও মহল।

স্লোভানিয়া আবার জানিয়েছে, তারা যে শুধু লকডাউন তুলে দিচ্ছে তা নয়, পর্যটকদের জন্য সীমান্তও খুলে দেবে। পাহাড়ি এই দেশের মূল উপার্জন মূলত পর্যটন, এখনও পর্যন্ত এখানে করোনা আক্রান্ত ১,৫০০-এর মত, মৃতের সংখ্যা ১০৩। বোসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় আবার ১৩ তারিখ খুলে দেওয়া হয়েছে মসজিদগুলি, ৫০ দিনে এই প্রথম।

যদিও ইউরোপ করোনা সঙ্কট ক্রমশ কাটিয়ে উঠতে চললেও এশিয়া-দক্ষিণ আমেরিকার অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। ভারত ও ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। অবস্থা শোচনীয় বিশ্বের ধনীতম দেশ আমেরিকারও, ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টাতেই শুধু আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৫০০ জন। রাশিয়ায় আবার প্রতিদিন সর্বাধিক মানুষ করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন, সংখ্যাটা গড়ে ৯,৭০৯। এখনও পর্যন্ত সে দেশে ২৮১,৭৫২ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।