নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে সহমর্মিতা দেখালেন বলিউড অভিনেত্রী তথা ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছা দূত প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ‘বাজিরাও মস্তানি’ অভিনেত্রী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে টুইটারে নিজের মতামতও প্রকাশ করেন প্রিয়ঙ্কা। একইসঙ্গে, এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওপর শক্তি-প্রয়োগের তীব্র নিন্দা করেন।
অভিনেত্রী লেখেন, আমাদের স্বপ্ন হল প্রত্যেক শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা। শিক্ষাই তাঁদের মধ্যে স্বাধীনভাবে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা জুগিয়েছে। আমরা তাঁদের মতামতের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলেছি। একটি উন্নয়নশীল গণতন্ত্রে শান্তিভাবে নিজের মতামত জানানোয় যদি বলপ্রয়োগের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে সেটা ভুল। প্রত্যেক মতামত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক মতামত ভারতের পরিবর্তনে সাহায্য করছে।





প্রিয়ঙ্কা একা নন। বলিউডের একাধিক সেলিব্রিটি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ওপর পুলিশের বলপ্রয়োগের নিন্দায় মুখর হয়েছেন হৃতিক রোশন, ফারহান আখতার, দিয়া মির্জা প্রমুখ।
হৃতিক লেখেন, অভিভাবক ও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে অস্থিরতা রয়েছে, তাতে আমি মর্মাহত। যত দ্রুত সম্ভব যাতে সেখানে শান্তি ফিরে আসে, তার জন্য আমি আশা ও প্রার্থনা করছি। শিক্ষকরাও ছাত্রদের থেকে অনেক কিছু শেখে। দেশে সর্বকনিষ্ঠ গণতন্ত্রকে আমি কুর্নিশ জানাচ্ছি।





দিয়া মির্জা লেখেন, আমার মা হিন্দু, ঔরসজাত বাবা খ্রীশ্চান আবার পালক-বাবা মুসলিম। সব সরকারি নথিতে ধর্মের জায়গায় আমি ফাঁকা ছেড়ে দিই। ধর্ম ঠিক করে দেবে যে আমি ভারতীয় নাগরিক কি না? এখনও পর্যন্ত হয়নি। আশা করব, ভবিষ্যতেও হবে না।