লাহৌর: দুয়ারে পুলিশ। যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন ইমরান খান (Imran Khan)। টানটান উত্তেজনা তাঁর লাহৌরের (Lahore Residence) বাসভবনের সামনে। ঠিক এমন সময়ই দেশবাসীর উদ্দেশে ট্যুইটারে (Video Message)ভিডিও বার্তা দিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। বললেন, 'পুলিশ ভাবছে ইমরান খান জেলে চলে গেলে দেশের মানুষও ঘুমিয়ে পড়বেন। আপনাদের এই ভাবনাকেই ভুল প্রমাণিত করতে হবে। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে যে এই দেশ হার মানবে না।'


ভিডিও বার্তা ইমরানের...
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান আরও বলেন, 'অধিকারের জন্য আপনাদের লড়তে হবে, রাস্তায় নামতে হবে। ঈশ্বর আমাকে সব কিছু দিয়েছেন। তাও আমি আপনাদের লড়াই লড়ছি। সারাজীবন ধরে এই লড়াই করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।' কিন্তু একই সঙ্গে ইমরানের দাবি, যদি তাঁকে জেলে পোরা হয় বা হত্যা করা হয়, তা হলে দেশবাসীকে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁকে ছাড়াও এই লড়াই চলতে পারে। তাঁর কথায়, 'আপনাদের দেখিয়ে দিতে হবে যে এই দাসত্ব এবং এক জন মানুষের খবরদারি আপনারা মানবেন না। '


কেন গ্রেফতারির মুখে 'কাপ্তান'?
তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে গ্রেফতারির খাঁড়া ঝুলছে ইমরানের মাথায়। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন আবার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের দেওয়া উপহার বিক্রির অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে। এর পরই দুর্নীতিদমন আদালতে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু বার বার সমন এড়ানোয় পিটিআই প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল গত সপ্তাহেই। পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটে হেরে গিয়ে কুর্সি ছাড়তে হয়েছিল ইমরান খানকে। তার পর থেকে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে মিটিং-মিছিল করেই চলেছেন পিটিআই প্রধান। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তাতে কর্ণপাত করেননি। সব মিলিয়ে উত্তাপের রেশ ছিলই। প্রসঙ্গত গত ৫ মার্চ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে তাঁর লাহৌরের বাড়ি গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু কোথায় তিনি? পুলিশের দাবি, ইমরানের খোঁজ মেলেনি লাহৌরের বাসভবনে। কিন্তু সত্য়ি যে ইমরানকে গ্রেফতার করার তোড়জোড় শুরু হতে পারে, সেটি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন শোরগোল।পরে ইসলামাবাদ পুলিশ ট্যুইট করে জানায়, 'কোর্টের নির্দেশ মেনে ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে  ইসলামাবাদ পুলিশ লাহৌরে পৌঁছয়। উনি আত্মসমর্পণ করার ব্যাপারে মোটেও উৎসাহী ছিলেন না। তাই পুলিশ সুপার ইমরানের ঘরে ঢোকেন। কিন্তু উনি সেখানে ছিলেন না।' গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির একটি মামলায় হাজিরা দেননি। তার পরই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। 


আরও পড়ুন:'কথায় কথায় চাকরি খাবেন না, দরকারে আবার পরীক্ষা নিন', আইনজীবীদের সামনেই বললেন মমতা