কলকাতা: ১৮ মার্চ থেকে সরকারের (West Bengal Government) সঙ্গে ডিজিটাল অসহযোগিতার সিদ্ধান্ত। ব্যক্তিগত ফোন, কম্পিউটার ব্যবহার করে কোনও কাজ নয়। শোকজ করা খাদ্যভবনের কর্মীদের নিয়ে আইনি পদক্ষেপের ভাবনা। 


ডিজিটাল অসহযোগিতার সিদ্ধান্ত: এদিন আন্দোলনকারীদেক তরফে বলা হয়, যেটা ধর্মঘট আপনারা ১০ তারিখে দেখেছেন তার থেকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে। সেটা হচ্ছে ডিজিটাল অসহযোগিতা। সরকার যখন আমাদের বিষয়ের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। শূন্যপদে যোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের যখন কোনও উদ্যোগ নেই, তখন আমরা সরকারের সঙ্গে আর কোনও রকম সহযোগিতায় যাব না। আগামী ১৮ তারিখ থেকে ডিজিটাল অসহযোগিতা কাজ এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারীরা শুরু করবেন। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ১৮ তারিখ থেকে অফিশিয়াস সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাবেন। স্কুল চলাকালীন কোনও ফোন রিসিভ করা বা হোয়াটসঅ্যাপ মারফত আসা কোনও নির্দেশ পালন করা হবে না। বাংলা শিক্ষা পোর্টালে সমস্ত কাজ ১৮ তারিখ থেকে বন্ধ থাকবে।                                   


খাঁ খাঁ করছিল খাদ্যভবন। ফাঁকা চেয়ার-টেবিল নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে। কার্যত মাছি তাড়ানোর মতো অবস্থা রাজ্য GST ভবনেও। নবান্নর নানা কড়াবার্তা-হুঁশিয়ারির পরও বকেয়া DA-এর দাবিতে, গত ১০ মার্চ শুক্রবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে ধর্মঘটের সার্বিক প্রভাব পড়ল রাজ্যজুড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্তমানে DA-এর ফারাক দাঁড়িয়েছে ৩২ এই বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের চলছে আন্দোলন, গত শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালন করল তারা। ধর্মঘট ঠেকাতে বৃহস্পতিবারই নবান্নর তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে সামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেইসঙ্গে শোকজ করা হবে।এরপর শুক্রবার আরও এক ধাপ এগিয়ে, নবান্নর তরফে জেলাশাসক ও সব দফতরের বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়, অফিস আওয়ারের চারটি নির্দিষ্ট সময়ে কর্মীদের হাজিরার রেকর্ড রাখার। সকাল পৌনে ১১টা, বেলা ১২টা, দুপুর দেড়টা ও বিকেল ৫টায় দফতরে কোন কোন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, তা জানাতে হবে।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় এবার আইনজীবীরাও,' ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর