নয়াদিল্লি : দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতে পাঠানো হল আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ শিসোদিয়াকে। সাত দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। যদিও মণীশকে ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। 


গতকালই মণীশকে গ্রেফতার করে ইডি। তার আগে দিল্লির আবগারি নীতি নির্ধারণে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই মামলায় আজই তাঁর জামিনের আর্জির শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিশেষ আদালতে। কিন্তু, তার পরিবর্তন হয়ে ২১ মার্চ হয়েছে। 


কিন্তু, মণীশের হেফাজত কেন প্রয়োজন ? এই প্রশ্নের উত্তরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বিশেষ আদালতকে জানায়, তারা জানতে চায় এই টাকা কোথায় গেছে। এই কাণ্ডে প্রায় ২৯২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইডির আইনজীবী বলেন, আমরা একাধিক অফিসারকে ডেকে পাঠিয়েছি। শিসোদিয়াকে হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি তাঁদের বসিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। 


রাজধানীতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আপ নেতার বিরুদ্ধে। দলের তরফে যদিও যে কোনও ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে বিজেপির দাবি, যদি সত্যি নতুন নিয়মে কোনও ভুলত্রুটি না থাকত তা হলে আপ কি এই নিয়ম প্রত্যাহার করত? প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই আরও রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নাম কে কবিতা। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কবিতা কেন্দ্রের অন্যতম বিরোধী নেতা। আগামী ১১ মার্চ ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। যদিও এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব রকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেসিআর কন্যা।


এদিকে গ্রেফতার হওয়ার দু'দিন পরই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন মণীশ সিসৌদিয়া (Manish Sisodia)। ইস্তফা দেন সত্যেন্দ্র জৈনও (Satyendra Jain)। তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arbvind Kejriwal)।


তিন পাতার পদত্যাগপত্রে সিসৌদিয়া লেখেন, 'এই অভিযোগ কিছু ভীরু এবং দুর্বল মানুষের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। আমি ওদের নিশানায় নই, ওদের নিশানায় আসলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দুর্নীতিগ্রস্ত হতে জোর করা যায় না। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আমার শক্তি। সত্যের জন্য় দাঁড়ালে, জয় আসবেই'।


আরও পড়ুন ; গ্রেফতার হওয়ার পর সিদ্ধান্ত, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা সিসৌদিয়ার, সরলেন সত্যেন্দ্রও