সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: 'স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র ছাড়াই গ্রুপ সি তে চাকরি করছেন ৫৭ জন!' বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 'এই ৫৭ জন কী করে চাকরি পেল? এদের সুপারিশপত্র কে দিয়েছে? শান্তিপ্রসাদ সিন্হা?' প্রশ্ন বিচারপতির। বিকাল ৩:১৫-র মধ্যে ওয়েবসাইটে এই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আজ বিকাল ৩.১৫-য় ফের শুনানি। শুনানির আগেই আদালতের নির্দেশমতো তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। গতকাল গ্রুপ ডি-র পরে স্কুলে গ্রুপ সি নিয়োগেও দেদার 'দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৩ হাজার ৪৭৭জনের মধ্যে ৩ হাজার ১১৫জনের ওএমআর-ই বিকৃত করার অভিযোগ। বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর ওএমআরের চেয়ে কম নম্বর সার্ভারে, ওঠে এমন অভিযোগ। তাহলে কি পরীক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়েও দেদার দুর্নীতি? হাইকোর্টের নির্দেশে এই প্রথম ওএমআর শিট প্রকাশ। ৩ হাজার ৪৭৭ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ করল এসএসসি।
ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল। এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। West Bengal Central School Service Commission-এর ওয়েবসাইটে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ৫৭ জনের কাছে কমিশনের সুপারিশপত্র নেই। কিন্তু নিয়োগপত্র রয়েছে।
এদিকে আরও একটি তালিকা রয়েছে যেখানে ৭৮৫ জনের নাম, রোল নম্বর ও স্কুলের নাম রয়েছে। ওই ৭৮৫ জনের সুপারিশ পত্র, নিয়োগপত্র রয়েছে। কিন্তু তাঁদের ওএমআর শিটে বিস্তর গন্ডগোল রয়েছে। অর্থাৎ গাজিয়াবাদের সার্ভার এবং এই সার্ভারে নম্বরের বিস্তর তারতম্য রয়েছে। যে ৩ হাজার ৪৭৭ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ করেছে এসএসসি। তার মধ্যে ৭৮৫ জনের তালিকা প্রকাশ করা হল।
আগেও চাকরি বাতিল:
এর আগেও ধাপে ধাপে একাধিকবার চাকরি বাতিল হয়েছে, এর আগে প্রথমে গ্রুপ ডি, তারপর নবম-দশমের শিক্ষক (Teachers Sacked)। প্রথম ধাপে ৬১৮ জন, তারপর আরও ১৫৭ জন 'অবৈধ' শিক্ষকের চাকরি গেল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি যাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। এই তালিকায় বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক 'অবৈধ' শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের ভিত্তিতে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল বলেই জানানো হয়েছে।