কলকাতা : ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশের জালে দেবাঞ্জন দেবের আরও ২ সহযোগী। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেবাঞ্জনের খুড়তুতো দাদা কাঞ্চন দেব। পুলিশের দাবি, নাকতলার বাসিন্দা কাঞ্চন ছিলেন দেবাঞ্জনের অফিসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। তাঁকে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়া হত। প্রথম থেকেই তিনি জানতেন, দেবাঞ্জন আদতে IAS নন। দেবাঞ্জনের প্রতারণা-কারবারে কাঞ্চনও যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। 


অপর এক ধৃত শরৎ পাত্র কাজ করতেন তালতলা এলাকার এক চিকিত্সকের চেম্বারে। সেখানেই ইঞ্জেকশন দিতে শিখেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেবাঞ্জনের ভুয়ো ক্যাম্পে শরৎই দিতেন ভুয়ো ভ্যাকসিন। এমনই দাবি পুলিশের।


ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এর আগে দেবাঞ্জনের পাশাপাশি তাঁর আরও তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার নতুন করে আরও দুই জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের আজ আদলাতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।


ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। বিভিন্ন পরিচয়ে সুবিধা আদায়ে কার্যত সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিলেন দেবাঞ্জন। অন্তত বিভিন্ন মহল থেকে সেরকমই অভিযোগ উঠছে। দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর থেকেই একাধিক জনের শরীরে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। করোনার কবল থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছেন জেনে গ্রাস করছে তীব্র আতঙ্ক। পুলিশের অভিযোগ, জেনে বুঝে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। 


শুধু দেবাঞ্জন দেব একাই নন, এর আগে গ্রেফতার হওয়ায় তাঁর ৩ সঙ্গীর বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার মামলা। কোভিশিল্ডের নামে অ্যামিকাসিন দেওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। সুস্থ মানুষকে এই অ্যান্টি বায়োটিক দিলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাই ৩০৭ ধারায়, খুনের চেষ্টার মামলাও রুজু হয়েছে।