নয়াদিল্লি: বাংলায় তোলপাড় ফেলে ভূতুড়ে ভোটার ইস্যু এবার দিল্লিতে। চাপ বাড়াতে নির্বাচন কমিশনে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেস। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে রাজ্য বিজেপি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে রাজ্য বিজেপির ১০ জন সাংসদ। নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল কংগ্রেসেরও ১০ জন সাংসদ। বাংলায় ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের তালিকা রয়েছে, দাবি করেছিল রাজ্য বিজেপি। ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল কংগ্রেসও। ডেরেকের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের ১০জনের প্রতিনিধি। ডেরেক, কল্যাণ, কাকলী, কীর্তি আজাদ-সহ কমিশনে তৃণমূলের ১০ সাংসদ। সুকান্তর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিদলে শমীক, অমিত মালব্য।



ভূতুড়ে ভোটার থেকে ডুপ্লিকেট EPIC নিয়ে এবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল ও বিজেপি। মঙ্গলবার এক ঘণ্টার ব্যবধানে চিফ ইলেকশন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে দুই দলের প্রতিনিধি দল।  ক্রমশ চড়ছে শাসক-বিরোধীর তরজার সুর।  ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে, ভূতুড়ে ভোটার থেকে শুরু করে একই EPIC নম্বরে একাধিক নাম থাকার মতো ইস্যুতে ক্রমশ তেতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। এবার সেই আঁচই পৌঁছচ্ছে দিল্লিতে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি। চিফ ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের ১০ জন সাংসদের এক প্রতিনিধি দল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা তথ্যপ্রমাণ সহ চিফ ইলেকশন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করব।' 


 তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'মূলত যাচ্ছে, বঙ্গভবনে বিজলী গ্রিলের কবিরাজি খেতে। ওদের অন্য সেরকম কোনও কাজ নেই।' সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বাংলা দখল করতে ভোটার তালিকায় ভিনরাজ্যের ভোটার ঢোকানো হচ্ছে। মুখ্য়মন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,'একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের যেখানে নাম আছে, সেখানে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, বিহার, সব নাম ঢুকিয়েছে।' তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যে ভুয়ো ভোটার খুঁজতে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল।  ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও। 


আরও পড়ুন, SFI নেত্রীকে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ ! রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট, 'থানায় নিয়ে ...'


অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এক এপিক নম্বর দু'জনের থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর সরিয়ে দেওয়া হবে বলে শুক্রবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। আর এখানেই নিজেদের নৈতিক জয় দেখছে তৃণমূল।