পূর্ব মেদিনীপুর: নাতনিকে ধর্ষণের মতো লজ্জাজনক অভিযোগ দাদুর বিরুদ্ধে! পাড়াপড়শি সবাই ছি ছি করতে শুরু করল! পুলিশও পকসো আইনে মামলা রুজু করল কিশোরীর দাদুর বিরুদ্ধে!
কিন্তু, শেষ অবধি ৩ বছর ধরে মামলা চলার পর দেখা গেল মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল! আশ্চর্য ব্যাপার হল, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের পরই যে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তার উল্লেখই ছিল না পুলিশের চার্জশিটে!
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মেয়েটির ঠাকুমা তাঁর দেওর অর্থাৎ সম্পর্কে মেয়েটির দাদুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। প্রায় আট মাস জেল খাটার পর জামিন পান অভিযুক্ত।
সোমবার সেই মামলার চূড়ান্ত রায়দান ছিল। আর রায়দানেই চমক। তমলুক আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি অভিযুক্ত বৃদ্ধকে বেকসুর খালাস করে দিলেন!
কারণ, বৃদ্ধের বিরুদ্ধে নাতনিকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল! নেপথ্যে না কি ছিল সম্পত্তি বিবাদ। আদালতে বেকসুর খালাস হয়ে বৃদ্ধ বললেন, আমার সম্মান নষ্ট হয়েছ। সেটা ফেরত পাব না। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে ফাঁসানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, পক্সো আইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুলিশকে আরও যত্নবান হবে হতে। বৃদ্ধের কৌঁসুলি বলেন, ময়নায় নাবালিককে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে ফাঁসানো হয়। সব বিচার করে বেকসুর খালাস করে। পুলিশ যত্নবান হোক।
আইনই একথা সর্বান্তকরণে স্বীকার করে, শত “দোষী “ ছাড়া পেয়ে গেলেও, একজন নিরপরাধ ব্যক্তিও যেন সাজা না পায়! একসময় যাঁর গায়ে লজ্জার কালি লাগানো হয়েছিল, তিনিই আজ মাথা উঁচু করে ফিরে গেলেন।