দিনকয়েক আগে ৩ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের ডাক দেয় আন্দোলনকারী কৃষকদের সংগঠনগুলি। আর এরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লিমুখী রাস্তা। সিঙ্ঘু-টিকরী-গাজিপুর সীমানা যেন দুর্গের চেহারা নেয়। লালকেল্লা কাণ্ডের পর এই কর্মসূচি নেয় আন্দোলনকারী কৃষকদের সংগঠন। কিন্তু তাঁদের আটকাতে সব রকম ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত বলেন, আমাদের আটকাতে পেরেক পোঁতা হয়েছে। কিন্তু তাদের আমরা ফুলের চারা উপহার দিয়েছি। সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মেন্দ্র মারিক বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আমরা সূর্যমুখী ফুলের চারা পোঁতার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, দিল্লি-দাবুর তিরাহা রোডে ফুলের বাগান বানানো হয়েছে। রাস্তায় যা ছড়িয়ে রাখা হয়েছে, তাকে আড়াল করবে। পাশাপাশি পরিবেশ সুন্দর করে ভাল গন্ধও ছড়াবে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় ৩ কৃষি আইন। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাবের কৃষকরা সিঙ্ঘু-টিকরী-গাজিপুর সীমানায় আন্দোলনে বসেছেন। গত বছর নভেম্বর মাসে আন্দোলনে নামেন তাঁরা। উল্লেখ্য, হাজার হাজার কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবসের র্যালিতে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। অভিযোগ র্যালির রুট পরিবর্তন করে কৃষকরা। অভিযোগ অনুমতি ছাড়াই লালকেল্লার ভেতর ঢুকে পড়ে তাঁরা। লালকেল্লা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এরপরই চাক্কা জ্যামের ডাক দেয় কৃষকরা।
তবে রাজধানীতে রাস্তা অবরুদ্ধ করে চাক্কা জ্যামের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল কৃষক সংগঠন। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে কিছু লোক এই চাক্কা জ্যামকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়াতে পারে। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে রাস্তা অবরুদ্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠন। চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত হচ্ছে। আর সেই কর্মসূচিতে ফুলের চারা পুঁতলেন কৃষকরা।