নয়াদিল্লি: একদিকে চলছে মোদির মন কি বাত। অন্যদিকে থালা বাজিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে একমাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন কৃষকরা।

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা জগজিৎ সিংহ দালেওয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান চলাকালীন থালা বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। তাঁর কথায়, করোনা অতিমারী পর্বে জনতা কার্ফুতে থালা বাজানোর আহ্বান জানান খোদ প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে এনডিএ জোট থেকে বেড়িয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি তথা আরএলপি। আরএলপি নেতা তথা নাগপুরের সাংসদ হনুমান বেনিয়াল কৃষকদের মিছিলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর আগে এনডিএ ছাড়ে শিরোমনি আকালি দল।

তবে থালা বাজিয়ে কৃষকদের এই প্রতিবাদ এই প্রথম নয়। শুক্রবার কৃষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই ভাষণ চলাকালীন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ করেন আন্দোলনকারীরা। নরেন্দ্র মোদির ভাষণ চলাকালীন থালা, ঘণ্টা বাজিয়ে, স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করেন কৃষকরা। রবিবারও ব্যতিক্রম কিছু ঘটল না। সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদের ছবি সামনে এসেছে।

এদিকে, আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়ত শনিবার বলেন, আজই এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়।

কৃষকদের দাবি, ৩ আইন পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে হবে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক নেতা দর্শন পাল বলেন, আগামী বুধবার কুন্ডলি-মানেশ্বর-পালওয়ালে ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করবেন কৃষকরা। তাঁর কথায়, দিল্লি এবং দেশের মানুষদের কাছে নতুন বছরে কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি আমরা।

উল্লেখ্য, চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাশ হয় ৩ কৃষি আইন। এর প্রতিবাদে গত ২৬ নভেম্বর থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। শুরু করেছেন রিলে অনশনও।

এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এত কিছুর পরেও অনমনীয় কৃষকরা। আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে কী হবে? সেই দিকেই তাকিয়ে দুপক্ষ।